বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভারত সমানে সমান

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল
ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশ-ভারত সমানে সমান

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টে দুই শিরোপা প্রত্যাশী বাংলাদেশ ও ভারত। তাই লড়াইটাও সেয়ানে সেয়ানে হলো। হারেনি কেউই। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ড্র করে দুই দলই। রোববার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। এই ড্রয়ের ফলে চার পয়েন্ট করে নিয়ে ফাইনাল খেলার পথে এগিয়ে রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশই। যদিও গোল পার্থক্যে টেবিলের শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারত।

মাথায় আঘাত পেলেও তা তুচ্ছ তার কাছে। এক রাত থেকেই হাসপাতাল ছেড়ে যোগ দিলেন অনুশীলনে। রোববার খেললেন

শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে। খেলায় এতটুকু ছন্দপতন নেই। মনেই হয়নি এক দিন

আগেও প্রতিপক্ষের ট্যাকলে মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশের অধিনায়ক শামসুন নাহারকে। তার নেতৃত্বে প্রথমার্ধে শক্তিধর ভারতকে রুখে দেয় লাল সবুজের মেয়েরা। অসাধারণ কিছু আক্রমণ রুখে দিয়েছে গোলকিপার রুপনা চাকমা। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা গোলদাতার পুরস্কার জেতা এই গোলকিপারও নিজের ওপর কোচের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন।

প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। কমলাপুর স্টেডিয়ামের ম্যাচে প্রথমার্ধ গোলশূন্য শেষ হয়। বাংলাদেশ আগের ম্যাচের উইনিং কম্বিনেশন নিয়ে মাঠে নামে। ভারতের সঙ্গে ম্যাচটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা বেশ কয়েকটি সেভ করেন। বাংলাদেশও গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। দুই দলের ফিনিশিং দক্ষতার অভাবে গোল হয়নি।

ম্যাচের সাত মিনিটে বক্সের ঠিক কাছ থেকে ভারতের ফরোয়ার্ড সুমতি কুমারীর দুর্দান্ত শটটি পা দিয়ে রুখে দেন রুপনা। রক্ষণে বাংলাদেশের দুর্বলতা ফুটে ওঠে শুরু থেকেই। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে অবস্থান ধরে রাখতে পারেননি নাসরিন আক্তার, সুরমা জান্নাতরা। আর বল রিসিভ এবং পাসিংয়েও এলোমেলো ছিলেন শামসুন্নাহাররা। মিডফিল্ডের পুরোটাই ছিল ভারতের দখলে। ১৪ মিনিটে কর্নার থেকে সুনিতা মুন্ডার হেড গ্রিপে নেন রুপনা চাকমা। ২৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শট নিয়েছিলেন স্বপ্না রানী, বামদিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন ভারতীয় গোলরক্ষক আনশিকা। ৩২ মিনিটে মাহফুজা খাতুনের কর্নার থেকে সুরমা জান্নাতের ভলি ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে বক্সের ভেতরে ডান প্রান্ত দিয়ে অধিনায়ক শামসুন নাহারের ডান পায়ের শট ভারতের গোলকিপার আনশিকাকে ফাঁকি দিলেও পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় মাঠে বাইরে। হতাশ হন স্বাগতিক দর্শকরা। শেষ পর্যন্ত গোল করতে পারেনি কোনো দলই।

এদিকে দিনের অন্য ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে নেপাল। হিমালয়ের দেশটি ৪-০ গোলে জিতেছে। দুই ম্যাচ শেষে নেপালের পয়েন্ট ৩ আর ভুটানের ০।

গত শুক্রবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল নেপাল। গতকালের এই জয়ে সেই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলো নীল জার্সির দলটি। ম্যাচের ১৯ মিনিটে গোল করে নেপালকে এগিয়ে দেন আমিশা কার্কি। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+২ মি.) ফের গোল করে দলকে দ্বিগুণ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। এতে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় নেপাল।

বিরতি থেকে ফেরার পর ম্যাচের ৬১ নেপালের হয়ে তৃতীয় গোল করেন প্রীতি রায়। দুই মিনিট পর ফের গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি নেপালকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে পৌঁছে দেন আমিশা কার্কি। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যবধানেই জয় নিশ্চিত হয় নেপালের।

লিগ ভিত্তিক এই টুর্নামেন্ট শেষ হবে আগামী ৯ ফেব্রম্নয়ারি। আগামী ৭ ফেব্রম্নয়ারি বিকাল ৪টায় লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের মোকাবিলা করবে নেপাল। একই দিন সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে