রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
সংবাদ সম্মেলনে দাবি সিপিডির

মনিটরিংয়ের আওতায় নেই ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬ গার্মেন্ট

যাযাদি ডেস্ক
  ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

ঝুঁকিপূর্ণ ৮৫৬টি গার্মেন্টকে মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, কারখানাগুলোতে কাজ চলছে, রপ্তানিও হচ্ছে। এরা সবাই কাজই করছে, তাহলে ওই কারখানাগুলো মনিটরিং কে করবে? এই সংখ্যাটি দিন দিন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার ধানমন্ডির সিপিডি কার্যালয়ে 'তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা : অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ মন্তব্য করেন। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে এখনো অনেক ঝুঁকিপূর্ণ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি রয়েছে। আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিলের (আরএসসি) আওতায় ১৮৮৭টি কারখানা মনিটরিংয়ের মধ্যে রয়েছে। আর নিরাপদ হিসেবে ৩৫০টি কারখানা শনাক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলের (আরসিসি) আওতায় ৬৫৯টি কারখানা মনিটরিংয়ের আওতায় রয়েছে। সব মিলিয়ে ২ হাজার ৮৯৬টি কারখানা আরএসিসি ও আরসিসির মনিটরিংয়ে রয়েছে। কিন্তু ৮৫৬টি কারখানা বর্তমানে কোনো মনিটরিংয়ের আওতায় নেই। কীভাবে এই কারখানাগুলোকে নিরাপত্তার আওতায় আনা

যায় সেদিকে চোখ রাখা উচিত।

তিনি আরও বলেন, ৮৫৬টি কারখানায় কাজ চলছে, রপ্তানিও হচ্ছে। এরা সবাই কাজই করছে, তাহলে ওই কারখানাগুলো মনিটরিং কে করবে? এই সংখ্যাটি দিন দিন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যা মোট কারখানার ২২-২৩ শতাংশ। যা ভবিষ্যতে ৩০ শতাংশ হতে পারে। কারখানাগুলোকে তদারকির মধ্যে আনতে হবে। কোনো কারখানা অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে থাকতে পারবে না। কেননা এসব কারখানায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ভার কে নেবে? বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ ওই কারখানার দায়ভার নেবে না। আমরা চাই সব কারখানা যেন কোনো না কোনো সংগঠনের সঙ্গে দায়বদ্ধতায় থাকে।

আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) যে কাজগুলো করছে তা গুরুত্বপূর্ণ। তবে তাদের কার্যক্রমের আরও স্বচ্ছতা ও জবাদিহিতার মধ্যে আনারও দাবি জানিয়েছে সিপিডি।

সংস্থাটি জানায়, ২০২৩ সালে রানা পস্নাজা ধসের দশ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই বিপর্যয় পরবর্তী এক দশকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা উন্নয়নে উলেস্নখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স গঠন এবং তাদের পরিচালিত কার্যক্রম কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা তদারকির ক্ষেত্রে শক্তিশালী দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।

ইতোমধ্যে, বাংলাদেশে পরিচালিত কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে অ্যাকর্ড আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানসহ অন্যান্য পোশাক সরবরাহকারী দেশগুলোতে প্রোগ্রামটি পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তবে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা তদারকিতে এই বিশেষ অগ্রগতির পরেও অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ থেকে চলে যাওয়ার পরে নতুন উদ্যোগগুলোর অর্জন ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত দিকনির্দেশনাগুলো তদারকির দায়িত্বে থাকা দেশীয় সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তা ধারাবাহিকভাবে পালন করছে কি না, তা সম্প্রতি দেশে পোশাক শিল্পের কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কিছুটা বেড়ে যাওয়ার পর নিরাপত্তা তদারকির বর্তমান প্রক্রিয়াকে নতুন করে পর্যালোচনা করা বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে