শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নিক্সন চৌধুরীর ফ্ল্যাট-পস্নটসহ জমি বেড়েছে ৫৪ গুণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
নিক্সন চৌধুরীর ফ্ল্যাট-পস্নটসহ জমি বেড়েছে ৫৪ গুণ

ফরিদপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ওই বছরের নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় তার মালিকানাধীন কৃষি জমির পরিমাণ ছিল ৫৪ শতাংশ। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে দাখিল করা তার হলফনামায়। কৃষি জমির পরিমাণ উলেস্নখ করেছেন ২ হাজার ৪২ শতাংশ। সেই হিসাবে গত দশ বছরে তার মালিকানাধীন কৃষি জমি

বেড়েছে প্রায় ৩৭ গুণ।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২০১৩ সালে ১ ডিসেম্বর দাখিল করা হলফনামায় স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট থাকার কথা উলেস্নখ করেছেন। আর দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চলতি বছরের ২৮ নভেম্বর দাখিল করা হলফনামায় রাজধানীর বনানীতে দুটি, গুলশানে দুটিসহ মোট চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে উলেস্নখ করা হয়। আর পস্নট রয়েছে ঢাকার পূর্বাচল, আদাবর, শিবচর হাউজিংসহ মোট চারটি স্থানে।

মজিবুর রহমান নিক্সনের ২০১৩ সালে কৃষি খাতে আয় ছিল ২ কোটি ৫ লাখ টাকা। চলতি বছর তা কমে হয়েছে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া প্রার্থীর নামে ব্যাংক লোন আছে ১৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৮ টাকা। তবে স্ত্রীর নামে আগের হলফনামায় কোনো নগদ অর্থ না থাকলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনী হলফনামায় ১ কোট ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা দেখানো হয়েছে।

মজিবুর রহমানের নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা এবারের হলফনামা থেকে দেখা যায়, নগদ টাকা রয়েছে ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ৬০০, স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৫২ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যাংকে জমা ৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৯ টাকা, স্ত্রীর নামে রয়েছে ৭ লাখ ২৩ হাজার ১৯১ টাকা। নিজের স্বর্ণালঙ্কার রয়েছে ৩০ তোলা, স্ত্রীর রয়েছে ৫০ তোলা। কৃষি জমি দেখিয়েছেন ব্রাহ্মণপাড়া ৯৭৫.২৮, একই এলাকায় ৫১০, ৩০, ২৩৪, ২৯০ শতাংশ এছাড়াও সাভারে ৩.২৮২৫ শতাংশ। এর বাইরে স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন অকৃষি ৫ কাঠা পস্নট শিবচর হাউজিংয়ে, পূর্বাচল রাজউক ৭.৫ কাঠা, আদাবর ০.০১২১৫ একর, দত্তপাড়া শিবচর অকৃষি ০.৩৮ একর। ঢাকার বনানীতে ফ্ল্যাট রয়েছে ৩৭১৬.১১ বর্গ ফুটের, ঢাকা বনানী প্রোপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের একটি ফ্ল্যাট, গুলশানে ৪ হাজার ৮৯১ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, গুলশান রোড ৭৯, হাউজ ১৬ এ একটি ফ্ল্যাট এবং ব্যাহ্মণপাড়ায় দোতলা বাড়ি।

দশ বছর আগে ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বরের দশম সংসদ নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় ছিল কৃষিখাতে আয় ২ কোটি ৫ লাখ টাকা, ফ্ল্যাট বা পস্নট ছিল না, শেয়ার সঞ্চয়পত্র ব্যাংক আমানত ছিল ২ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৩ টাকা। নগদ অর্থ দেখিয়েছেন ২৮ লাখ ১০ হাজার ২২০ টাকা। স্ত্রীর নামে নগদ কোনো টাকা ছিল না। কৃষি জমির পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৩৮ শতাংশ, অকৃষি জমির পরিমাণ ১৭.১০। স্ত্রীর নামে ৭.৫ কাঠা। ওই হলফনামায় স্ত্রীর নামে স্বর্ণ ছিল ২৫ তোলা।

হলফনামায় সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ঘোষণা দিয়েছেন, ইতোপূর্বে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে তিনি তার চারটি প্রতিশ্রম্নতির দুটি (বিদু্যতায়ন ও সৌর বিদু্যৎ প্রকল্পে ৯৫ ভাগ, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির ৮৫ ভাগ), জননিরাপত্তা ৭২ ভাগ এবং ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা পাকাকরণ ৭৯ ভাগ পূরণ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে