বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

১৫ জানুয়ারির মধ্যেই দিতে হবে জুলাই বিপস্নবের ঘোষণাপত্র -হাসনাত আব্দুলস্নাহ

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিলস্না
  ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
১৫ জানুয়ারির মধ্যেই দিতে হবে জুলাই বিপস্নবের ঘোষণাপত্র -হাসনাত আব্দুলস্নাহ

১৫ জানুয়ারির মধ্যেই জুলাই বিপস্নবের ঘোষণাপত্র দিতে হবে উলেস্নখ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুলস্নাহ বলেছেন, 'সরকার ও অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল জুলাই অভু্যত্থানের ঘোষণাপত্রের ব্যবস্থা করা। যেখানে সরকার থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা নেওয়া হয়নি। তাই আমরা এ বিপস্নবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েছি। কিন্তু সরকার যেহেতু নিজেই দায়িত্ব নিয়েছে সব রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করবে। তাই আমরা ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রটি ঘোষণা করিনি। আমরা রাজনৈতিক ঐকমত্যকে প্রাধান্য দিয়েছি।'

বুধবার কুমিলস্না জেলা শহরে জুলাই বিপস্নবের ঘোষণাপত্রের সমর্থনে জনসংযোগ শেষে শহরের টাউন হল মাঠে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে পুলিশ লাইন্স থেকে শুরু, কান্দিরপাড়সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জনসংযোগ করেন তিনি।

1

হাসনাত আব্দুলস্নাহ বলেন, 'দুঃখজনক বিষয় হলো ৩১ ডিসেম্বরের পর এতদিন কেটে গেলেও সরকার এখনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, যারা এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছিল, গণঅভু্যত্থানে অংশগ্রহণ করেছিল ও সব শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপস্নবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে হবে।'

তিনি বলেন, 'ঘোষণাপত্রে অবশ্যই শহীদ ও আহতদের স্বীকৃতি দিতে হবে। ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর যে ধারাবাহিকতা সেখানে সুস্পষ্ট তার বর্ণনা থাকতে হবে। আর সেটাতে আমরা কোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি তার বর্ণনা থাকতে হবে। যে রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করেছে, তাদের অংশগ্রহণে স্বীকৃতি সেখানে থাকতে হবে। জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন এই ঘোষণাপত্র থাকতে হবে। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ঘুরে বেড়াবো এবং সাধারণ মানুষ যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল তারা এই ঘোষণাপত্রে কী চায় তুলে ধরবো। যাতে ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া না দিতে পারে।'

তিনি বলেন, '৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আহত ও শহীদদের পরিবারকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু আমরা এখনও আহতদের ও শহীদ পরিবারের আর্তনাদ শুনি। যেটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয়। আমরা চাই, এ সরকার বেশি গুরুত্ব দেবে আহত ও শহীদদের প্রতি। আমরা দেখেছি, জুলাই ফাউন্ডেশনের আহত ও শহীদদের পরিবার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়েছিল। বলতে চাই, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের যেন কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা না থাকে।'

কুমিলস্না ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল উলেস্নখ করে হাসনাত আব্দুলস্নাহ বলেন, 'হাসিনার নির্ঘুমের কারণ ছিল এই কুমিলস্না। কুমিলস্না থেকে বিরোধী প্রতিধ্বনি সবসময় উচ্চারিত হয়েছে। কুমিলস্না থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই অব্যাহত থাকবে। ২৪ পরবর্তী সময়ে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্নের কথা বলা হচ্ছে সেটির যাত্রা কুমিলস্না থেকেই শুরু হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মাঝেমধ্যে দোহাই দিয়ে বলতে শুনি, সিন্ডিকেটের হাত, চাঁদাবাজির হাত ও টেন্ডারবাজির হাত পরিবর্তন হয়েছে। আপনাদের আমরা দোহাই দেওয়ার জন্য এখানে আনিনি। এক্সকিউজ (অজুহাত) দেওয়ার জন্য এখানে আনিনি। আপনাদের এখানে এনেছি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। যেই হাত চাঁদাবাজি করে, টেন্ডারবাজি করে সেই হাত ভেঙে দিতে হবে। এক্সকিউজ দেওয়ার সুযোগ আপনাদের নেই। আপনাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। ৫ আগস্টের আগে আমাদের যে অবস্থান ছিল আমাদের সে অবস্থান অব্যাহত থাকবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে