১৭তম জাতীয় অ্যাবাকাস অ্যান্ড মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতায় গ্রান্ড চ্যাম্পিয়ন মেহরিমা ফাইরুজ হিমাদ্রি। মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বিলাস ও অনন্যা সরকারের সুকন্যা সে। আলোহা বাংলাদেশের আয়োজনে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হলো ১৭তম জাতীয় পর্যায়ের অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা ২০২৫। রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৬০০টির বেশি স্কুল থেকে ৩ হাজার ৯০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
শিশুরা কত দ্রম্নত ও নির্ভুলভাবে সমাধানে পৌঁছাতে পারে, এই পরীক্ষার উদ্দেশে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৫ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উলিস্নখিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমাধান করে ফেলে। আয়োজনের প্রথম পর্ব জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার মি. লোহ মুন সাং। এরপর শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোর পর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা। মোট ৪টি ব্যাচে প্রায় ৩৯০০ শিক্ষার্থী এ ম্যাথ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। দ্বিতীয় দিন প্রথম পর্বে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার মি. লোহ মুন সাং। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলোহা ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর মিস কিরণ মাতওয়ানি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী এবং ডিরেক্টর মো. শামসুদ্দিন টিপু।
স্বাগত বক্তব্যে আলোহা বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, 'আলোহা বাংলাদেশ গত ১৮ বছর ধরে মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে কাজ করছে। যেহেতু বাচ্চাদের ১৫ বছর পর্যন্ত কগনেটিভ নলেজের বিকাশ ঘটে- তাই বেশি বেশি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটি তাদের জন্য খুবই জরুরি।' বাচ্চারা পুরস্কার পাক বা না পাক তাদের অংশগ্রহণটাই মুখ্য। আজকের এই সফলতার জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে তিনি সাধু বাদ জানান।