নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় জলজ উদ্ভিদ কচুর পাতাকে আর অবহেলার চোখে দেখা হয় না। একসময় যাকে শুধু অবাঞ্ছিত গাছ হিসেবে মনে করা হতো, এখন তা স্থানীয় কৃষক ও ভোক্তাদের কাছে পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ উৎসে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়রা এখন বাড়ির পাশের পুকুর বা ডোবায় জন্মানো কচুর পাতা সংগ্রহ করে শাকসবজি হিসেবে রান্না করছেন। শুধু তাই নয়, এর পুষ্টিগুণ ও স্বাদের কারণে অনেকেই নিয়মিত কিনে খাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে প্রতিনিয়ত এখন কচুর ডাটা বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার বড় শিমলা গ্রামের রিতা খাতুন বলেন, আগে কচুর পাতাকে তেমন গুরুত্ব দিতাম না, কিন্তু এখন জানতে পেরেছি এটি স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট উপকারী। তাই মাঝে মধ্যেই আমাদের খাবারের তালিকায় কচু শাক থাকে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে কচুর পাতা সংগ্রহ ও ব্যবহার বাড়ানো গেলে এটি স্থানীয় পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কৃষকদের জন্য বাড়তি আয়ের উৎস হতে পারে। তবে জলাশয়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় নিয়ন্ত্রিতভাবে কচুর চাষের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিসার প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, "কচুর পাতা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সহজলভ্য উদ্ভিদ। আমরা কৃষকদের এটির ব্যবহার ও চাষে উৎসাহিত করছি, যাতে তারা বাড়তি পুষ্টি ও আয় উভয়ই পেতে পারেন। তবে জলাশয়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এর পরিমিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।"