শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেড় যুগ ধরে সেবাবঞ্চিত ৩৩ গ্রামের মানুষ

ম স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ
  ১৩ জুন ২০২১, ০০:০০

সুনামগঞ্জের দুর্গম শালস্না উপজেলার শালস্না ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা পাচ্ছেন না ইউনিয়নের ৩৩ গ্রামের মানুষ। পরিবার কল্যাণ কর্মীদের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এটি। ইউনিয়নের একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পাশের জেলা হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ইউনিয়নবাসীকে।

দুর্গম এলাকার মা ও শিশুসহ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রায় দেড় যুগ আগে উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম উপজেলা শালস্না ইউনিয়নের শালস্না নিজগাঁও বাজারের পাশে দৃষ্টিনন্দন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে সরকার। এখানে আবাসিক ডাক্তার ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের থাকারও ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু চালুর পর এখানে এখন পর্যন্ত কেউ অবস্থান করেননি। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট, ভিজিটর, আয়া, একজন চিকিৎসকসহ পাঁচটি পদ রয়েছে। কিন্তু একজনকেও কখনো স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়নি এখানে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানে কেউ আসতেও চায় না। তাই বছরের বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে এটি। যার ফলে মা ও শিশুরা অসুস্থ হলে পাশের হবিগঞ্জ জেলার আজমিরিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। এতে সময় ও অর্থ অপচয়সহ চরম দুর্ভোগও পোহাতে হচ্ছে ইউনিয়নবাসীকে। তারা দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটি চালু করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার দাবি জানালেও এখনো বঞ্চিত রয়েছেন। নিজ শালস্না গ্রামের ব্যবসায়ী ও উপজেলা যুবলীগ নেতা তফসির চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাদের এলাকার এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ আছে। মাঝে-মধ্যে কয়েক ঘণ্টার জন্য খোলা হয়। সরকার প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সেবার লক্ষ্যে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে দৃষ্টিনন্দন এ হাসপাতালটি তৈরি করলেও তা মানুষের উপকারে আসছে না।

শালস্না বাজারের ব্যবসায়ী ঝুটন দাস বলেন, সুনামগঞ্জের সবচেয়ে দুর্গম এলাকার বাসিন্দা তারা। তাদের এলাকার সঙ্গে শালস্না উপজেলা সদর এবং জেলা সদরেরও সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই। ১৫ থেকে ১৬ বছর আগে সরকার সুন্দর একটি হাসপাতাল নির্মাণ করে দিয়েছিল। খুশি হয়েছিলেন যে মা ও শিশুসহ সাধারণ রোগীরা সেবা পাবে। কিন্তু তাদের কোনো লাভ হয়নি। এই হাসপাতালটি স্থায়ীভাবে চালু থাকুক এলাকাবাসী তা চায়। সুনামগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু দাম স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে জানান, লোকবলের অভাবে স্বাভাবিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে সম্প্রতি পাশের ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে এই কেন্দ্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে ইউনিয়নবাসী নিয়মিত সেবা পাবেন। তাছাড়া এটিসহ অন্যান্য বন্ধ কেন্দ্র চালুর ব্যাপারেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে