বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ারিশ পরিচয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তুলছেন কথিত বোন!

ম কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৪ মে ২০২২, ০০:০০

ওয়ারিশ পরিচয়ে 'কথিত' বোন সেজে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা তুলছেন মোসা. মুন্না বেগম নামে এক নারী। এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে। ভাতা বন্ধ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মো. লিয়াকত আলী নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের মৃত হাছেন আলী সরদারের ছেলে ইউনুস আলী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ইউনুসের নাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধার গেজেটে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সম্মানি ভাতা তার একমাত্র ওয়ারিশ মা গোলজান খাতুন ভোগ করেন। এরই মধ্যে গোলজান খাতুন একই গ্রামের ধলাই খাঁ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ওই সংসারে গোলজানের মুন্না নামে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তিনি মারা যাওয়ার পর শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলীর আর কোনো ওয়ারিশ জীবিত না থাকায় পরবর্তীতে ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এ সুযোগে মুন্না বেগম নিজেকে ইউনুস আলীর ওয়ারিশ (বোন) পরিচয় দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অসাধু চক্রকে ম্যানেজ করে নিজের নামে ভাতা চালু করেন। মুন্না বেগমের জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম ধলাই খাঁ, গ্রাম-খলিশাখালী, ওয়ার্ড নং ৭ লেখা রয়েছে। তবুও তিনি হাছেন আলী সরদারের মেয়ে পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা ভোগ করছেন।

অভিযোগকারী লিয়াকত আলী বলেন, 'শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলীর ভুয়া ওয়ারিশ পরিচয় দিয়ে মুন্না বেগম ভাতা উত্তোলন করে আসছেন। কিন্তু ইউনুসের কোনো ওয়ারিশ বেঁচে নেই। ভুল তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার টাকা তুলে খাচ্ছেন। তাই তাকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।'

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুন্না বেগম জানান, 'আমি হাছেন আলী সরদারের মেয়ে। কিন্তু ছোট বেলা ধলাই খাঁকে বাবা বলে ডাকতাম। সেই হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলক্রমে পিতার নাম ধলাই খাঁ লেখা হয়েছে।'

কাশিয়ানী ইউএনও মেহেদী হাসান বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে