শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ

স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা
  ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

চুয়াডাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলায় যে কোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে চলছে দায়সারা গোছের সড়ক সংস্কার।

চুয়াডাঙ্গা হতে জীবননগর সড়কের ডুগডুগি বাজার থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত ধীরগতিতে এ কাজ চলছে। নওগাঁ জেলার একজন ঠিকাদারের কাজ এ জেলার একজন অনভিজ্ঞ ঠিকাদার দায়সারাভাবে করায় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা হতে জীবননগর সড়কের ডুগডুগি বাজার থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত কার্পেটিং সিলিকেট কাজ পায় নওগাঁ জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিনুল হক (প্রা.) লিমিটেড। ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটারের এ কাজ স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়ন করছেন ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একজন অনভিজ্ঞ ঠিকাদার।

সরেজমিন দেখা যায়, কোনো রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না রেখেই সারা দিন-রাত শত শত যানবাহন চলাচলকারী এ সড়কের দুই ধারে গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। প্রতিরোধক হিসেবে গর্তের ধারে চারটি করে ইট ব্যবহার করা হয়েছে। সতর্ক করার জন্য বাঁশের লাঠির মাথায় লালটেপ জড়িয়ে কয়েক জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে। তবে সড়কের কিছু অংশ ইট-বালি মিশিয়ে ভরাট করলেও অন্য অংশে গর্ত রয়েই গেছে। রাতে সড়ক বাতি না থাকায় পুরো সড়ক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকছে। বৃষ্টি আর কাদা ও সড়কের দুই ধারের গর্তের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। যে কোনো মুহূর্তে দ্রম্নতগতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পড়ে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

লোকনাথপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, 'বড় বড় গর্ত খুঁড়ে রাখায় সড়ক পার হয়ে ক্রেতা আসতে না পারায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাছাড়া গর্তের কারণে আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা অন্ধকারে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন না।'

এছাড়া সড়ক সংস্কারের চলছে যথেষ্ট অনিয়ম। সড়কের ওপর হালকা পিচের প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। রোলার দেওয়ার পরও সড়ক রয়েছে উঁচু-নিচু। মনেই হচ্ছে না সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। দায়সারা গোছের কাজের কারণে সংস্কারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, আবু সাঈদ, একরামুল ও স্থানীয় বাসিন্দা মতিয়ার অভিন্ন ভাষায় বলেন, 'সড়ক সংস্কারে যথেষ্ট অনিয়ম হয়েছে। সামান্য পিচের প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে।'

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী আজিজুর রহমান বলেন, 'শ্রমিক বাড়িয়ে কাজটি দ্রম্নত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।' রাতে চুয়াডাঙ্গায় ফেরার সময় তার গাড়িও কাদায় আটকে গিয়েছিল বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম বলেন, 'কাজটিতে তদারকি বাড়ানো হবে। এখানে দায়সারা কাজের কোনো সুযোগ নেই। এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে