রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাউ মুরগি পালন

দেখতে ও স্বাদে দেশি মুরগির মতো হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে চাহিদা
মেহেরপুর প্রতিনিধি
  ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

মেহেরপুরের সদর উপজেলায় ৫০টিরও বেশি বাউ মুরগির খামার গড়ে উঠেছে। বাউ মুরগি পালন করে অনেকেই অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। দেখতে ও স্বাদে দেশি মুরগির মতো হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ মুরগি পালন। ফলে দিন দিন বাড়ছে এ মুরগির চাহিদা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ আলী এবং অধ্যাপক বজলুর রহমান মোলস্না দীর্ঘদিন গবেষণা করে 'বাউ ব্রো মুরগি বা বাউ মুরগি' নাম দিয়ে নতুন জাতের দুটি স্টেইন বা জাত উদ্ভাবন করেন। প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির মতো ঘরে পালন করা যায় এটা। ৪২-৪৫ দিনে এর ওজন হয় এক কেজির উপর। বর্তমানে দেশীয় মুরগির মতো ৪শ' থেকে সাড়ে ৪শ' টাকা কেজি দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের বাউ মুরগি খামারি রহিলা খাতুন জানান, স্থানীয় দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থা (ডিবিএস)-এর সহযোগিতায় ১ম পর্যায়ে ১৫০টি মুরগি পালন করে দেড় মাস পর বিক্রি করে ১৫ হাজার টাকা লাভ করেছে। ২য় পর্যায়ে আরও ১৫০টি মুরগি নিয়ে পালন করছি।

সদর উপজেলার বাঁড়িবাকা গ্রামের আর এক খামারি আরজিনা খাতুন জানান, এ মুরগি পালনে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। এ মুরগি পালনে সুবিধা হলো দেশি মুরগির তুলনায় অল্প দিনে বাজারজাত করা যায়।

ডিবিএস-এর কৃষি ইউনিটের (প্রাণিসম্পদ খাত) কর্মকর্তা রুহুল আমিন সরদার জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত একটি উন্নত মুরগির জাত। এ জাতের মুরগির মৃতু্য হার কম। মুরগি পালন বিষয়ে খামারিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। এ মুরগি পালনে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় খামারিরা লাভবান হচ্ছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ব্রয়লারের মতো মুরগির বাচ্চা বিদেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে না খামারিদের। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে দেশেই সাশ্রয়ী দামে বাচ্চা উৎপাদন করা যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে