আজকের যায়যায়দিন

লক্ষ্ণীপুরে পুলিশের দু'টি মামলায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের ৯ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ আসামির বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মোতায়ন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) সৈয়দা আমিনা ফারহিন তার এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ও জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্ণীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু।

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ছে শাল-গজারির সবুজ বন

এ মামলায় যাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুলস্নাহ আল-মামুন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান রাজন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জুয়েল মাহমুদ, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবুল বারাকত সৌরভ, সদর পূর্ব ছাত্রদলের সদস্য সচিব বায়েজিদ ভূঁইয়া।

আসামি পক্ষের আইনজীবী আহমেদ ফেরদৌস মানিক জানান, বিরোধী দলকে দমন করতে আজকের এ রায়। আমরা এ রায়ের সন্তুষ্ট নয়। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। ইতোপূর্বে মহামান্য হাইকোর্ট আসামিদের আগাম জামিন দিয়েছেন।

উলেস্নখ্য, গত ১৮ জুলাই লক্ষ্ণীপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ও সজিব হত্যার ঘটনায় সদর মডেল থানায় পরদিন ১৯ জুলাই রাতে চারটি পৃথক মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত সজিবের মেজো ভাই সুজন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন। পাশাপাশি মজুপুর এলাকায় কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম নুরুল আমিন রাজুর বাসভবন ও ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি ৩০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেছেন।

এছাড়াও দায়িত্ব পালন কাজে বাধাসহ পুলিশকে আহত করার ঘটনায় সদর থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপি নেতা এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ২৫ জনের নাম উলেস্নখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১ হাজার ৫০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।

সেই সঙ্গে বিস্ফোরক ও নাশকতার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর থানার এসআই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন। এই মামলায়ও এ্যানি চৌধুরীকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উলেস্নখ এবং ১ হাজার ৫শ' জনকে আসামি করা হয়েছে।