আজকের যায়যায়দিন

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলায় আরও দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শফিকুল ও ডিএনএ পরীক্ষক ডা. রবিউল। পিপি রকিবুদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, 'মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও ডিএনএ ডা. রবিউল আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আমরা তাদের জেরা করে কোনো আলামত খুঁজে পাইনি। ডিএনএ চিকিৎসককে আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম যে তিনি কি একা পরীক্ষার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন? তিনি বলেছেন, আরও কয়েকজন সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু ডিএনএ রিপোর্টে তাদের নাম বা স্বাক্ষর নেই। এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যেদিন মামুনুল হককে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন সেদিন আর কোন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন এবং গ্রেপ্তারের পর কার হেফাজতে তাকে রাখা হয়েছিল সেই বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। এতেই প্রমাণিত হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।'

বাদী পক্ষের আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট রকিবুদ্দিন আহমেদ (পিপি) বলেন, 'মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আজ সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। এর আগে মামুনুল হকের কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা স্বেচ্ছায় সোনারগাঁ থানায় তার ছেলেসহ বিস্তারিত অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি নিজে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন মামুনুল হক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। সব সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলে মামলার বাদী ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করি।'

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর ও তান্ডব চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করছিলেন। এরপর সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন ঝর্ণা। তবে ঘটনার দিন থেকেই ঝর্ণাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ছে শাল-গজারির সবুজ বন