সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
জনতার বাধায় বন্ধ কাজ ইট খোয়া ছাড়াই চলছে ঢালাই

আদমদীঘিতে ক্লিনিক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

বগুড়ার আদমদীঘিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এতে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত রোববার ভবনের মেঝে ইট খোয়া ছাড়াই ঢালাই করা হচ্ছে বালু আর নিম্নমানের সিমেন্ট ব্যবহার করে। ফলে বিক্ষুব্ধ জনতার বাধায় নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছে।

আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারপুর গ্রামে অবস্থিত পুরনো কমিউনিটি ক্লিনিকটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় টেন্ডারের মাধ্যমে নিলামে বিক্রি করা হয়। এরপর নতুন ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দেওয়ান মামুনুর রসিদ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পান। সম্প্রতি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ ভবন নির্মাণকাজ শুরুর দিকে ভালো মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হলেও পরবর্তী সময় থেকে এক নাম্বার ইটের পরিবর্তে ব্যবহার করছে তিন নাম্বার ইট ও নিম্নমানের সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী। গত রোববার নিমার্ণাধীন ক্লিনিকের মেঝে ঢালাইয়ে খোয়া ব্যবহার ছাড়াই বালু ও পরিমাণের চেয়ে কম সিমেন্টের সংমিশ্রণে কাজ করার সময় স্থানীয় জনতা বাধা দিলে কাজ বন্ধ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কোমারপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা আকবর হোসেন জানায়, সিডিউল মোতাবেক যেভাবে কাজ করার কথা ছিল সেভাবে কাজ করা হচ্ছে না। ইট খোয়া ছাড়াই মেঝে ঢালাই করা হচ্ছে। একই অভিযোগ ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত সিএইচইপি বিমল কুমারের। তিনি বলেন, প্রথমে ভালো ইট দিয়ে কাজ করলেও পরে খারাপ ইট ব্যবহার করছিলেন।

কোমাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ মন্ডল বলেন, ভালোমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কথা বলা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা করেননি। ভবনের মেঝের ঢালাই কাজে ইটের খোয়া ব্যবহার না করে বালুর ওপরে ঢালাই দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর বাধার মুখে ঠিকাদার বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করেন।

ঠিকাদার দেওয়ান মামুন জানান, 'এখানে খারাপ কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের একজন প্রকৌশলী কাজ পরিদর্শন করেছেন। নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। ইটভাটা থেকেই খারাপ ইট সরবরাহ করার কারণে আমি নিজেই আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি।' বগুড়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক জানান, 'এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে সাইড প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে