নওগাঁর বদলগাছীতে শিল্প বিদু্যৎ মিটার সংযোগ নিয়ে অবৈধভাবে সেচ কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সদর ইউপির সোহাসা গ্রামের তয়াফর হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। যদিও তিনি জানান পলস্নীবিদু্যৎ অফিসের ডিজিএম তাকে অনুমোদন দিয়েছেন। এদিকে, পলস্নীবিদু্যৎ অফিসের ডিজিএম বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, ওই গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে মিলন হোসেন এলাকার কৃষকের স্বার্থে ২০১৮ সালে ঝঞড স্থায়ীভাবে পাম্প স্থাপনের আবেদন করেন। তৎকালীন উপজেলা বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের টাকা দাবি করে। মিলন টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার পাম্প স্থাপন বন্ধ করে দেয়। এর পরও তিনি দুটি আবেদন করেও কোনো ফল পাননি। এদিকে একই গ্রামের তয়াফর হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান সোহাসা মাঠের পাশেই পুকুরে মাছ চাষের জন্য একটি শিল্প বিদু্যৎ মিটার সংযোগ নেন। তবে ওই মিটার দিয়ে মাঠের দুই হাজার ফিট আন্ডার গ্রাউন্ড নল সংযোগের মাধ্যমে তা সেচ কাজে ব্যবহার করছেন, যা পুরোটাই অবৈধ।
সরেজমিনে স্থানীয় কৃষক শহীদুল, ওয়ারেছ আলী, উজ্জ্বল হোসেন, ফারুক আহমেদসহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মিজানুর পুকুরে মাছ চাষের জন্য মিটার নিয়েছেন। কিন্তু অবৈধভাবে আন্ডার গ্রাউন্ডের মাধ্যমে সেচ কাজে ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, 'আমি পুকুরে মাছ চাষের জন্য মিটার নিয়েছি। পলস্নী বিদু্যৎ অফিসের ডিজিএম আমাকে সেচ কাজে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন।'
উপজেলা পলস্নীবিদু্যৎ অফিসের ডিজিএম আহসান হাবিব বলেন, মিজানুর রহমানকে যে সংযোগ দেওয়া হয়েছে, সেটি শিল্প বিদু্যৎ মিটার হিসেবে ব্যবহারের কথা। তিনি যদি ঝঞড হিসেবে ব্যবহার করেন, তাহলে এটি অবৈধ। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা বরেন্দ্র অফিসের ইঞ্জিনিয়ার মো. মোসাফ আলী বলেন, 'মিজানুর রহমানের লাইসেন্সের আবেদন পেয়ে জানতে পারি, যে সংযোগ আছে সেটি শিল্প বিদু্যৎ মিটার। এ মিটার দিয়ে ঝঞড লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব নয়। বিষয়টি আমি উপজেলা সেচ কমিটিকে জানিয়েছি। আমি জানার পর পলস্নী বিদু্যৎ অফিসে সঠিক বিষয়টি জানার জন্য একটি চিঠিও দিয়েছি।' উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন বলেন, দুটি আবেদন পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।