সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া ও বাঙ্গালী নদীতে পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এর ফলে উপজেলার দুই ইউনিয়নের তিন থেকে চারটি পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। শুক্রবার করতোয়া নদীর কাটাখালী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় এখানে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ সেন্টিমিটার।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়া ও বোচাদহ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একাধিক স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বোচাদহ এলাকায় প্রায় ৬শ' মিটার অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পার্শ্ববর্তী রাখালবুরুজ ইউনিয়নের বিষপুকুর এলাকায়ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও বাড়িঘর তলিয়ে যেতে পারে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুষ্ক মৌসুমে পানির উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কার্যক্রম না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যার সময় আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে কিছু বালুভর্তি বস্তা ফেলা হলেও স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এ কারণে প্রায় প্রতি বছরই বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ঢুকে পড়ায় স্থানীয়রা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, 'গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলার কয়েকটি পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শন করে বালুভর্তি জিও ব্যাগ নিক্ষেপ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।
Google News ফিড অনসরণ করুন
