সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাংনীতে বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন কৃষকরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
  ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

অল্প পরিশ্রম আর স্বল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় বীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন মেহেরপুরের গাংনীর চাষিরা। সেই সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সবজি চাষ। সবজি চাষের পাশাপাশি উন্নতমানের বীজ উৎপাদনে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে কৃষি বিভাগ।

বীজ উৎপাদনকারী কয়েকজন চাষির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সরকারি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও কয়েকটি বেসরকারি সবজি বীজ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে লালশাক, পুঁইশাক, পালংশাক, কলমিশাক, ভুটাং শাক, অলতাপাটি, দেশি জাতীয় আরএন শাক, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউ, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির বীজ উৎপাদন করছেন কয়েক হাজার চাষি। অনেকে আবার নিজ উদ্যোগে চাষ করছেন। বীজ উৎপাদন করে সবজি অনুযায়ী একরপ্রতি ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ পান কৃষকরা। গাংনী উপজেলায় চলতি মৌসুমে অন্তত ৫৫০ হেক্টর জমিতে বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে।

গাংনী উপজেলার সাহারবাটি, ভাটপাড়া, নওপাড়া, মাইলমারী, ধলা, পুড়াপাড়া, গাঁড়াডোবসহ বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠে উৎপাদন হচ্ছে বীজ।

বিভিন্ন বীজ কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, জেলায় প্রায় দেড় হাজার জন কৃষক সরাসরি বীজ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় এ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদিত বীজ কিনে নেয় কোম্পানিগুলো।

সাহারবাটি গ্রামের বীজ চাষি গোলাম কিবরিয়া, হুদা, আব্দুল কুদ্দুছ, লাভলু হোসেন জানান, খাদ্যশস্য আবাদ করে লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। তাই বিভিন্ন সবজির বীজের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। বিভিন্ন চাষের তুলনায় বীজ চাষে লাভ বেশি। বিএডিসি আমঝুপি বীজ খামারের উপ-পরিচালক গোলক নাথ বণিক বলেন, 'কৃষিনির্ভর জেলা মেহেরপুরের চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের সবজি বীজের চাষ।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে