শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেহেরপুরে প্রণোদনার পেঁয়াজ চাষে আশার আলো দেখছেন চাষি

গোলাম মোস্তফা, মেহেরপুর
  ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলায় ১৭০০ জন কৃষককে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য সরকারিভাবে বিনামূল্যে বীজসহ নানা উপকরণ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে চাষিরা বীজতলা শেষে জমিতে পেঁয়াজ রোপণ করেছেন। বর্তমানে পেঁয়াজের গুটি নেওয়া শুরু হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে চাষিরা পেঁয়াজ তুলবেন। এ পেঁয়াজে আশার আলো দেখছেন মেহেরপুরের চাষিরা।

মেহেরপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে সরকারি প্রণোদনার আওতায় ১৭০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন ১৭০০ জন চাষি। প্রতি জন পেঁয়াজ চাষিকে দেওয়া হয়েছে বীজ, সার, বালাইনাশক, পলিথিন, নায়লনের সুতলি এবং চাষাবাদের খরচ বাবদ নগদ টাকা। এসব প্রনোদনা পেয়ে খুশি মনে পেঁয়াজ চাষ করেছেন তারা। বর্তমানে পেঁয়াজের গুটি আসা শুরু হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে চাষি পেঁয়াজ তুলতে পারবেন। এই পেঁয়াজে আশার আলো দেখছেন তারা। তবে তাদের দাবি তারা যখন পেঁয়াজ তুলবেন, তখন যেন সরকার পেঁয়াজ আমদানি না করে। তাহলে চাষিরা লাভবান হতে পারবেন না। তখন পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

সদর উপজেলার দিঘীরপাড়া গ্রামের চাষি কিতাব আলী জানান, বিঘাপ্রতি প্রণোদনা বাদে ৪০-৪৫ হাজার টাকা খরচ হবে। যদি ফলন ভালো হয়, তবে ১২০-১৪০ মণ পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বর্তমান বাজারদর ঠিক থাকে তবে দুই লক্ষাধিক টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবেন চাষি।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগির হোসেন জানান, যদি গড়ে বিঘাপ্রতি ১২০ মণ ফলন হয়, তবে পেঁয়াজের উৎপাদন ৮ হাজার মে.টন ছাড়িয়ে যাবে। পেঁয়াজের ফলন যাতে ভালো হয় তার জন্য কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার জানান, প্রণোদনার আওতায় চাষিরা পেঁয়াজ চাষ করতে পেরে খুশি। প্রণোদনা দিয়ে কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক চাষিদের পর্যবেক্ষণ করছে। যাতে সরকারের এই মহতি উদ্যোগ নষ্ট না হয়ে যায়। পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে সরকারের যে মহতি উদ্যোগ, তা অনেকাংশে পূরণ হবে বলে আশাবাদী এই কৃষি কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে