বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেলের বিরুদ্ধে ৭ শিক্ষার্থীর মামলা

রাজশাহী অফিস
  ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেলের বিরুদ্ধে ৭ শিক্ষার্থীর মামলা

বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়াই প্রতারণার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীর বেসরকারি শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। গত ২১ ও ২৫ জানুয়ারি রাজশাহীর সিএমএম (চন্দ্রিমা থানা) আমলি আদালতে মামলাগুলো দায়ের করা হয় বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী মখলেছুর রহমান ডাবলু।

তিনি বলেন, শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ও নবম ব্যাচের এমবিবিএস-এর সাতজন শিক্ষার্থী পৃথকভাবে সাতটি মামলা করেছেন। আদালতের বিচারক মামলাগুলো আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদীরা হলেন- মেহেদী হাসান মুন্না, নিশাত তাসনিম সিয়াম, নাইমুল ইসলাম মকুল, ধনঞ্জয় কুমার, আব্দুলস্নাহ আল সাকিব, জিন্নুরাইন কাবা, আল ইমরান। তারা সবাই অষ্টম ও নবম ব্যাচের এমবিবিএসের শিক্ষার্থী।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন, অধ্যক্ষ ডা. ফাতেমা সিদ্দিকা, চেয়ারম্যান জিলস্নুর রহমান, সহকারী পরিচালক ডা. মোজাম্মেল হক বেলাল, গভর্নিং বডির সদস্য মোছা. বিউটি বেগম, মো. মিঠু, মো. টিটু, কবির হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন, মাসুদ রানা ও মোসা. সানজিদা আক্তার বীথিকে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না জানান, আমরা রাজশাহীতে সাতটি মামলা করেছি। এছাড়াও একই অভিযোগে আরও ৩২ জন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ জেলায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সপ্তাহের মধ্যেই ওই মামলাগুলো দায়ের হবে।

মামলার আর্জিতে উলেস্নখ করা হয়, রাজশাহীর বেসরকারি শাহমখদুম মেডিকেল কলেজে বিএমডিসি অনুমোদন নাই অথচ পত্রিকায় প্রতারণামূলক ভর্তি বিজ্ঞাপন দিয়ে আসামিরা ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য উৎসাহিত করে।

বাদীরা তাদের অভিযোগে উলেস্নখ করেন, মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও মেধাবী ছাত্র হওয়ায় তাদের পিতা জমিজমা বিক্রি করে ছেলেকে ডাক্তার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেন। এ সুযোগ নিয়ে ৩৯ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের নিকট থেকে ১১ লাখ থেকে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় আসামিরা। প্রথম অবস্থায় কোনো শিক্ষার্থীই আসামিদের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেনি।

আসামিরা যথারীতি মেডিকেল কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিক বিষয়গুলো কৌশলে পরিচালনা করেছেন। কিন্তু ১ম বর্ষ বৃত্তিমূলক পরীক্ষা অর্থাৎ ১ম বর্ষ এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। তখন সকল শিক্ষার্থী শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ সম্পর্কে অবগত হন এই প্রতিষ্ঠানের বিএমডিসি'র কোনো অনুমোদন নেই।

এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নহে কিংবা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই। সেই কারণে শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ১ম বর্ষ বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না।

এমতাবস্থায় গত ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে অষ্টম ও নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে হোস্টেল থেকে বের করে দেয় বলেও মামলার আর্জিতে উলেস্নখ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে