রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গুচ্ছ নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ইবি শিক্ষকরা

ইবি প্রতিনিধি
  ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ আয়োজিত সভায় গুচ্ছে থাকা বা না থাকা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন তারা। এতে শিক্ষকদের কেউ কেউ গুচ্ছ পদ্ধতির পক্ষে এবং কেউ কেউ নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে মতামত দেন। রোববার সংগঠনের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, শিক্ষক সমিতির সভায় গুচ্ছের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত উপনীত না হতে পারায় শিক্ষকদের মতামত গ্রহণ করা হয়। এতে সরকারের অভিপ্রায় থাকায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে মত দেন ৬ জন শিক্ষক এবং গুচ্ছে না গিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে মত দেন ৭ জন শিক্ষক। তবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর মামুনুর রহমান মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক ডক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, 'আমরা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু, ওই সভার পরে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে, ইউজিসি, সরকারের বিভিন্ন মহল ও গুচ্ছের আহ্বায়ক যশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্যারের বক্তব্য হতে সুস্পষ্ট হয়েছে যে, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরকারের অভিপ্রায় রয়েছে। এ ছাড়াও, এ বছরে ১৫ হাজারেরও অধিক ভর্তিচ্ছু ইবিকে কেন্দ্র হিসেবে আবেদন করেছেন। তাই, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের দূর-দূরান্তের অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা নিরসনে আমি মনে করি, এ বছরের মতো গুচ্ছের বাইরে যেয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তির নামে কালক্ষেপণের আর সুযোগ নেই।'

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডক্টর মামুনুর রহমান বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ গুচ্ছে না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে সভায় ৬ জন নিজস্ব পদ্ধতিতে থাকার বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট তথা দ্বিমত পোষণ করেছেন।

এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমি গুচ্ছের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে গুচ্ছে সম্পৃক্ততার বিষয়টি উপস্থাপন করি। কারণ, ইতোমধ্যে গুচ্ছে ইবিকে অন্তর্ভুক্ত করে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে ও বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করা হয়েছে। পরে শিক্ষকদের মতামত নেওয়া হলে ৭ জন নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মতামত দেন এবং ৬ জন এমন পরিস্থিতিতে গুচ্ছে সম্পৃক্ততার বিষয়ে মতামত দেন। সমান মতামত না হওয়ায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আমি মতামত প্রদান করতে পারি না। তবে মতামত সমান হলে আমি গুচ্ছে সম্পৃক্ততার বিষয়েই মতামত প্রদান করতাম। কিন্তু গুচ্ছে না থাকার পক্ষে মতামত বেশি হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার মতটি আমাকে লিপিবদ্ধ করতে হয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে