বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সারিয়াকান্দিতে যত্রতত্র পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
সারিয়াকান্দিতে যত্রতত্র পেট্রোল ও গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অকটেন-ডিজেল, মবিল, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল। এ উপজেলায় একটি ফিলিং স্টেশন থাকলেও বিভিন্ন মুদি দোকান, হার্ডওয়্যার, ক্রোকারিজ দোকান, সার দোকান থেকে শুরু করে সড়কের মোড়ে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, মবিল ও এলপি গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। তাদের অধিকাংশের নেই কোনো লাইসেন্স বা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র। অথচ নিয়ম অনুযায়ী দাহ্য পদার্থ বিপণন ও বাজারজাত করতে হলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নিতে হয়।

সারিয়াকান্দি উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অর্ধশতাধিক দোকানে বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানি পদার্থ। বিভিন্ন দোকানে দুই লিটার, এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের পস্নাস্টিকের বোতলে পেট্রোল ও অকটেন ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতল ভর্তি পেট্রোল ও অকটেন কিনতে পারেন। এতে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়।

জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপক সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সে নির্দেশনা উপেক্ষা করে সারিয়াকান্দিতে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল গ্যাস সিলিন্ডার। যার ফলে যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

বিস্ফোরক পরিদপ্তর সূত্র জানায়, খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে একজন বিক্রেতা সর্বোচ্চ ১২ কেজির ১০টি পর্যন্ত এলপিজি সিলিন্ডার মজুদ রাখতে পারবেন। পেট্রোল বা ডিজেল বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই হাজার লিটার পর্যন্ত মজুদ করতে পারবেন। তবে আবাসিক এলাকায় এ ব্যবসা নিষিদ্ধ।

সারিয়াকান্দি উপজেলার ছোটবড় হাটবাজারগুলো ঘুরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, শতাধিক মুদি, হার্ডওয়্যার, ক্রোকারিজ, মোটর সাইকেল গ্যারেজ, বাই সাইকেল গ্যারেজ, সারের দোকানে অবাধে বিক্রি করছে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, মবিল, গ্যাস।

সারিয়াকান্দি বাজারের এক জ্বালানি তেল বিক্রেতা বলেন, 'আমরা ছোট ব্যবসায়ী। সারা দিনে অল্প কয়েক লিটার তেল বিক্রি করি। বিস্ফোরক আইন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। লোকজনের চাহিদা থাকায় এজেন্টদের কাছ থেকে দৈনিক ১০ লিটার করে তেল নিয়ে এসে বিক্রি করি।'

ব্যবসায়ী আজম বলেন, 'হাতের নাগালে অকটেন-পেট্রোল মুদি দোকানসহ যত্রতত্র বিক্রি করায় সন্ত্রাসীরা নাশকতার কাজে পেট্রোল ব্যবহার করতে পারে। প্রশাসনের কাছে দাবি এ দাহ্য পদার্থ যেখানে সেখানে বিক্রি বন্ধ করা হোক।'

সারিয়াকান্দি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের স্টেশন অফিসার মাসুদ জানান, 'সারিয়াকান্দি উপজেলার খুচরা মার্কেটে যত্রতত্র যেভাবে গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল-অকটেন ও ডিজেল বিক্রি হচ্ছে তার ৮৫ শতাংশই অবৈধ। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, খোলা বাজারে অকটেন, ডিজেল, পেট্রোল, মবিল বিক্রি করা যাবে না। অবৈধভাবে এসব বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে