বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে যশোর বিপর্যস্ত জনজীবন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
  ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
যশোরে তীব্র তাপদাহে কিছুটা স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশের পানির কল থেকে হাতমুখ ধুতে ব্যস্ত রিকশাচালক -যাযাদি

তীব্র দাবদাহে পুড়ছে যশোর। বৈশাখের খরতাপে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকুল। প্রতিদিনই ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে ব্যারোমিটারের পারদ। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবার জেলায় এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার এই তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সহসাই এই দাবদাহ থেকে মুক্তি মিলছে না বলে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, যশোরে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। বৈরী হয়ে উঠছে প্রকৃতি। হাঁসফাঁস করছে জনজীবন-প্রাণিকুল। খরতাপে সারা দিনই অস্বস্তিকর সময় পার করছে সাধারণ মানুষ। গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা থমকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যশোরে দিনের অধিকাংশ সময় তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামছে না। তবে গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে ৪২ ডিগ্রির মতো। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বুধবার যশোরে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৃদু দাবদাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝারি দাবদাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৪০ ডিগ্রি থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তীব্র দাবদহে। সেই অনুযায়ী যশোরে এখন তীব্র দাবদাহ চলছে। আর আগামী দু-এক দিনের মধ্যে এই দাবদাহের তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

প্রচন্ড গরমে ঘরের বাইরে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছেন বিপাকে। বাইরে কড়া রোদ থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ বা আবার লেবুর শরবত খেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বেশি বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা। রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন শওকত আলী। তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে মাথার মধ্যে ঘুরিয়ে উঠছে। কিন্তু ভাড়া না মারলে তো সংসার চলবে না।

যশোর শহরের রিকশাচালক মফিজুর রহমান বলছেন, মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছে। যারা বাইরে আসছে গরমের সঙ্গে তাদেরও মেজাজ গরম থাকছে। মানুষের সঙ্গে ভালো করে কথা বলা যাচ্ছে না। এদিকে গরমে পরিবহণে চলাচল করা যাত্রীরাও নিদারুণ কষ্টে যাতায়াত করছেন।

শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, বাসার ছাদের রিজার্ভ ট্যাংকের পানি অনেক গরম হয়ে যাচ্ছে। দুপুর বারোটা থেকে বিকেল পর্যন্ত পানিতে হাত দেয়া যাচ্ছে না। শহরে শরবত বিক্রেতা কালাম হোসেন জানান, গরম বাড়ায় তাদের শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে