বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সৈয়দপুরে হিড এনজিও'র কোরবানি প্রোগ্রামে দুর্নীতির অভিযোগ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
সৈয়দপুরে হিড এনজিও'র কোরবানি প্রোগ্রামে দুর্নীতির অভিযোগ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে শহরের বিভিন্ন উর্দুভাষী ক্যাম্পে বসবাসরত ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের আবার শিক্ষায় ফিরিয়ে আনা এবং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফ্রেন্ডস অব হিউম্যানিটি ইন ডিসট্রেস (হিড) পরিচালিত এনজিও। তাদের অর্থায়নে ২০২৪ সালের ১৮ ও ১৯ জুন সৈয়দপুর শহরের গোলাহাটে অবস্থিত এফওএইচ প্রাইমারি স্কুলে ক্যাম্পবাসীদের মধ্যে গরু-ছাগল কোরবানি করে মাংস বিতরণ করা হয়। তবে, এনিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

ক্যাম্পবাসীর বেশ কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ তোলেন, এনজিও (হিড) সিন্ডিকের কিছু লোকজন মিলে কোরবানির নামে লুটপাট করছেন।

1

সংস্থার সৈয়দপুরের কো-অর্ডিনেটর আবদুল লতিফ স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, সৈয়দপুরে মোট ২৫টি গরু ও ২৫টি ছাগল বরাদ্দ ছিল। তিনি এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুরের অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে সংবাদকর্মীরা সৈয়দপুর উপজেলাস্থ এনজিও বিষয়ক কর্মকর্তার দপ্তরের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, (হিড) এনজিও'র কোরবানির প্রোগ্রামের কাগজপত্র তারা জমা দিয়েছেন। সেখানে বলা আছে সৈয়দপুর উপজেলার জন্য বরাদ্দ ৪০টি গরু ও ৪০টি ছাগল। প্রতিটি গরুর মূল্য ৮০ হাজার ৭৩০ টাকা ও প্রতিটি ছাগলের মূল্য ১৫ হাজার ২১০ টাকা।

এ ব্যাপারে এনজিও'র নির্বাহী পরিচালক হারুনুর রশিদ জানান, সৈয়দপুর উপজেলার জন্য ২৫টি গরু ও ২৫টি ছাগল বরাদ্দ হয়েছে। যা ইউএনও'র দপ্তরে জমাকৃত হিড এনজিও'র স্বাক্ষরিত কাগজের সঙ্গে কোনো মিল নেই। তাদের ভাষ্যমতে, ১৫টি গরু ও ১৫টি ছাগল যার মোট মূল্য ১৪ লাখ ৩৯ হাজার একশ' টাকার কোরবানির পশুর কোনো হিসাব কাগজের সঙ্গে মিলছে না।

সংবাদকর্মীরা উপজেলায় এনজিও'র জমাকৃত কাগজে দেখতে পান, তাতে সর্ব-সাকুল্যে বরাদ্দ ৫৩ লাখ ৬১ হাজার ৬১০ টাকা। যার বরাদ্দপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক বু্যরোর কার্যালয়ের বরাদ্দপত্রে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার জন্য ৪০টি গরু ও ৪০টি ছাগল। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার জন্য ১২টি গরু ও ১০টি ছাগল। ঢাকার মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকার জন্য ৫টি গরু। মোট ৫৭টি গরু ও ৫০টি ছাগল। বরাদ্দকৃতের সৈয়দপুর উপজেলায় ১৫টি গরু ও ১৫টি ছাগল গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে যার মূল্য ১৪ লাখ টাকা।

এনিয়ে ক্যাম্পের অনেকের মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, এইভাবে তারা (এনজিও'র স্থানীয় প্রতিনিধি) গরিবের নামে কোরবানি নিয়ে এসে লুটপাট করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে