মালয়েশিয়ায় ছুরিকাঘাতে মোঃ ওয়াজ উদ্দিন (৩৮) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করা হয়েছে। তার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার উত্তর মির্জানগর গ্রামে। বৃহস্পতিবার ভোরে তার লাশের কফিন দেশে এসে পৌঁছেছে। দুপুরে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছলে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, গত ১ আগস্ট রাতে মালয়েশিয়ার জোহরবারো এলাকায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন ওয়াজ উদ্দিন। আরিফ নামে একজন রুমমেট মাদকাসক্ত অবস্থায় তাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে তার মৃতু্য হয়।
উলেস্নখ্য যে, আরিফ এবং নিহত ওয়াজ উদ্দিনের বাড়ি একই এলাকায়। তারা বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করতেন এবং একসঙ্গে একই রুমে থাকতেন।
ঘটনার দিন আরিফ রুমে বসে মদ পান করলে ওয়াজ উদ্দিন তাকে বাধা দেন। এতে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে আরিফ ছুরি দিয়ে ওয়াজ উদ্দিনের বুকে আঘাত করে। এতে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে আশপাশের লোকজন সেখানকার হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে এবং ঘটনার দিনই আরিফকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওয়াজ উদ্দিনের ডেথ সার্টিফিকেট এবং মালয়েশিয়ান এম্বাসির প্রত্যয়ন অনুযায়ী জানা যায়, ওয়াজ উদ্দিনের বাম ফেমোরাল আর্টারিতে ছুরিকাঘাত হয়েছে এবং মালয়েশিয়ার জোহরের কুলাই হাসপাতালে তার মৃতু্য হয়।
বৃহস্পতিবার বাদ আছর উত্তর মির্জানগর এলাকার স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে সেখানকার কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ওয়াজ উদ্দিনের বড় ভাই মোঃ আজগর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তার ভাইয়ের লাশ গ্রহণ করেন এবং বাড়িতে আনা হয় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে।
ওয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী শিউলি আক্তার বলেন, আমার স্বামীকে যে খুন করেছে আমি তার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।