বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ক্ষুব্ধ জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা

কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সরকার নির্ধারিত ফি'র চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা। সরকার নির্ধারিত ফি পৌরসভার জমি শতকরা ১০ এবং পৌরসভার বাইরে শতকরা ৮ টাকা। কিন্তু একটি চক্র কৌশলে সরকার নির্ধাতি ফি ছাড়াও দলিল প্রতি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত ফি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে টাঙ্গিয়ে দেওয়া উচিত। জমির মালিকরা সরকারের ফি কত না জানায় সুযোগ নিচ্ছে ওই চক্রের সদস্যরা। নিয়মানুযায়ী সরকারি পে-অর্ডার ছাড়াও অতিরিক্ত অর্থের জন্য কোনো রশিদ দেওয়া হয় না।

সরেজমিনে ৩০ অক্টোবর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যেয়ে দেখা যায়, সেখানে মহুরি পদে চাকরি করেন আব্দুল হান্নান। আব্দুল হান্নান সেবা গ্রহীতা এবং দলিল লেখকদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলক দলিল প্রতি ১৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বিনা রসিদে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন, যার ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে কালীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত সাব রেজিস্টার নেই। ফলে এ উপজেলার রেজিস্ট্রির কাজ করতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাব রেজিস্টার কাউসার আলী সপ্তাহে দুইদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ফলে তার আসা যাওয়া খরচ আপ্যায়ন এবং অফিস খরচ বাবদ আব্দুল হান্নান এসব টাকা আদায় করছেন বলে জানা গেছে। ২৯ ও ৩০ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে প্রায় শতাধিক দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এ দুইদিনে দলিল প্রতি ১৫০০ থেকে ২০০০ করে টাকা আদায় করেছেন আব্দুল হান্নান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক জানান, আব্দুল হান্নান শুধু রেজিস্ট্রির জন্য নয়, দলিলের সিরিয়াল বাবদও ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে আদায় করে থাকেন।

1

কালীগঞ্জ রেজিস্ট্রি অফিসের মহুরি আব্দুল হান্নান জানান, 'সরকারি ফি'র অতিরিক্ত কোনো টাকা আদায় করা হচ্ছে না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা, কেউ আপনাকে ভুল তথ্য দিয়েছে।' সাব রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কাওসার আলী বলেন, 'রশিদ ব্যতীত অতিরিক্ত ফি আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। ভুক্তভোগী কেউ থাকলে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন আমি দেখব।'

ঝিনাইদহ জেলা রেজিস্ট্রার সাব্বির হোসেন জানান, বিনা রশিদে অফিসে বসে টাকা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। কেউ যদি অনৈতিকভাবে কোনো টাকা লেনদেন করে থাকেন তথ্য প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম জানান, জমি রেজিস্ট্রিতে অতিরিক্ত ফি আদায় করলে তার তথ্য প্রমাণ দেন। অবশ্যই বিষয়টি দেখা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে