এ যেন 'মরার উপর খাঁড়ার ঘা'। ছয় মাসের মাথায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ার বাজারে ফের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার আনুমানিক রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোন, পুলিশ ও স্থানীয়দের সার্বিক প্রচেষ্টায় আগুন দ্রম্নত নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় মুদি দোকান, কাপড়ের দোকান, ফার্মেসী, টেলিকমের দোকানসহ আনুমানিক ১০টি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে বলে জানা যায়। এতে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে আগুণ লাগার কারণ জানা না গেলেও ইলেকট্রনিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।

দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা পংকজ বড়ুয়া জানান, 'দীঘিনালার লারমা স্কয়ার বাজারে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে দ্রম্নত ঘটনা স্থলে পৌঁছাই। ফায়ার সার্ভিসের দীঘিনালা ইউনিট, সেনাবাহিনীর দীঘিনালা জোনের সেনা সদস্যরা, পুলিশ ও স্থানীয়দের সার্বিক প্রচেষ্টায় এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই আমরা।'

এ ঘটনায় রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, দীঘিনালা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. ওমর ফারুক। তিনি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দীঘিনালা সেনা জোনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। এছাড়াও তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ। তিনিও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

উলেস্নখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে দূর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুরো লারমা স্কয়ার বাজার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে নিঃস্ব হয়েছিলো সকল সম্প্রদায়ের ছোটবড় শতাধিক ব্যবসায়ী পরিবার। ঘটনার ছয় মাসের মাথায় আবারও লারমা স্কয়ার বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১০টিরও বেশি স্থাপনা পুড়ে গেছে। এ নিয়ে টানা তিনবার আগুনে পুড়লো লারমা স্কয়ার বাজার।