শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পদযাত্রায় সরকারের ভিত নড়বড়ে হয়ে গেছে

পদযাত্রায় মির্জা আব্বাস
যাযাদি রিপোর্ট
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বুধবার বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ অন্য নেতারা -যাযাদি

চার দিনের কর্মসূচির শেষ দিনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীতে পদযাত্রা করেছে বিএনপি। বুধবার সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পস্ন্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার এবং জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের নেতাকর্মীরা হাতে হারিকেন ও হাড়ি নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। তারা গ্যাস, বিদু্যৎ, পানি ও দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবি ছাড়াও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন সেস্নাগান দেন। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, পদযাত্রায় সরকারের ভীত নড়বড়ে হয়ে গেছে। বুধবার বিকালে রাজধানীর কমলাপুরে সিপাহি বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। কর্মসূচিকে ঘিরে দুপুরের আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা কমলাপুর এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা নেতাকর্মী ছাড়াও দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন। কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে খিলগাঁও মোড় হয়ে মালিবাগ বাজার পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পথে দেড় ঘণ্টার 'নীরব পদযাত্রা' যাওয়ার সময়ে রাস্তার দুই ধারে অনেক উৎসুক জনতাকে তালি দিয়ে, হাত নাড়িয়ে উৎসাহ দিতে দেখা গেছে। বিএনপির এই দীর্ঘ পদযাত্রায় পুরো কমলাপুর, মুগদা ও বাসাবো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এই কর্মসূচিকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। উদ্বোধনী বক্তব্যে মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপির পদযাত্রায় সরকারের ভীত নড়বড়ে হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগও নিজেদের পতনের আওয়াজ পেয়ে গেছে। ওই যে কারা আসছে? এরা কারা? এরা গণতন্ত্র চায়, এরা ভোটে অধিকার চায়, এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায় করতে চায়- এটা টের পেয়ে গেছে। এই সরকারের পতন অবশ্যই ঘটবে। তাদের পতন শুরু হয়ে গেছে। এখন শুধু দেশের মানুষের সময়ের অপেক্ষা। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'আমরা যদি চিৎকার করি, আওয়ামী লীগ ভয় পায়। আমরা যদি নীরব থাকি তাহলেও আওয়ামী লীগ ভয় পায়। বিএনপির নীরব পদযাত্রাতেও তারা ভয় পেয়ে গেছে। এখন সরকারের একেকজন চাটুকার একেক রকম কথা বলছে। কেউ বলছে বিএনপির মরণ যাত্রা, কেউ বলছে এটা, কেউ বলছে সেটা। বিএনপির এই পদযাত্রায় আওয়ামী লীগের কী আসে যায়? যদি এটা তাদের শবযাত্রা হয়ে থাকে তাহলে কিছু আসে যায়। আসলে এই পদযাত্রা আওয়ামী লীগের শবযাত্রার পূর্ব অবস্থা।' বিদু্যতের বার বার দাম বৃদ্ধির কঠোর সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, বিদু্যৎ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, মাসে মাসে বিদু্যতের দাম সমন্বয় করা হবে। ভাবটা এরকম যে, এটা কারও একটা রাজত্ব, রাজার হুকুম মতো দেশ চলবে। কিন্তু এটা এই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের হুকুম মতো চলবে, কারও রাজতন্ত্রে নয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সাল ভুলে যান। ওইভাবে আর নির্বাচন এ দেশে হবে না। বিএনপিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ নাই। বিএনপি রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে। দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় পদযাত্রায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ডা. রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, রিয়াজ উদ্দিন নসু, মীর নেওয়াজ আলী, মহানগর উত্তরের কাজী আবুল বাশার, হাবিবুর রশীদ হাবিব, তানভীর আহমেদ রবিন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, রাজিব আহসান, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ নেতারা অংশ নেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে