সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে সিন্ডিকেট করে মাংসের মূল্য বৃদ্ধির অভিযোগ

এসএ প্রিন্স, নীলফামারী
  ১৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে নীলফামারী জেলার ৬ উপজেলার মাংসের বাজারও নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। বাজারে গরুর মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে যৌক্তিক ঘোষণা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা মাংসের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে মাংসের দাম বাড়ানোর ঘটনা নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে প্রায়ই বাগবিতন্ডার ঘটনা ঘটছে।

সূত্রমতে, নীলফামারীর ৬ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪২০টি ভাতের রেস্তোরাঁ রয়েছে। রেস্তোরাঁর চাহিদার পাশাপাশি জেলার সচ্ছল পরিবারের নিত্যদিনের খাবারের মেনু্যতেও গরুর মাংস থাকে। এতে জেলায় প্রতিদিন মাংসের চাহিদা গড়ে প্রায় ১৪ টন থেকে ১৬ টন। স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন পড়ে ১৮০ থেকে ২০০টি গরু জবাই করে মাংসের চাহিদা মেটান।

ক্রেতাদের অভিযোগ, মাংসের দোকানগুলোয় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দাম ঠিক থাকলেও দুপুরের পর সিন্ডিকেটের নির্ধারণ করা দরে বিক্রি করে। গত এক মাস ধরেই জেলার মাংসের বাজারে

এ অবস্থা চলছে। হাটবাজারে গরুর পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম ও গরুর দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্য খরচের অজুহাতে হঠাৎ মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ক্রেতারা আগের দামে বিক্রির কথা বললেও মাংস ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। তারা পূর্বের দর ৬০০ থেকে ৬২০ টাকার স্থলে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। বিশেষ বিশেষ দিনে তারা দাম বাড়িয়ে ৭০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি করেন। এভাবে মাংস ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

নীলফামারী শহরের ক্রেতা মুহিন আনছারী বলেন, 'মাংসের দাম বাড়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা ওজনের সময় প্রতি কেজিতে কমপক্ষে ২৫০ গ্রাম হাড় ও চর্বি কৌশলে ঢুকিয়ে দেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা বলেন হাড়-চর্বি কি আমরা বাড়ি নিয়ে যাব? তাই শবেবরাতে গরুর মাংসের পরিবর্তে গরিবের আমিষ মুরগির মাংস কিনেছি।'

গৃহিণী স্বপ্না খাতুন বলেন, 'মাংস কিনতে গিয়েছিলাম, বিক্রেতা দাম চাইল প্রতি কেজি ৬৭০ টাকা, দাম শুনে মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা। ফলে মাংস না কিনেই গরিবের জন্য সহজ উপায়ের খাদ্য ব্রয়লার মুরগি কিনলাম।'

এদিকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ অস্বীকার করে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লুৎফর রহমান বলেন, 'সিন্ডিকেট নয়, বাজারে গরুর সরবরাহ কম থাকায় হাটে গরুর মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া অন্য খরচও বেড়ে যাওয়ায় মাংসের দাম বাড়াতে হয়েছে।'

মাংসের সঙ্গে অতিরিক্ত চর্বি ও হাড় বিক্রির বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে