রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
ভোলা-৩

বিএনপির দুর্গে চাঙ্গা আওয়ামী লীগ

মিজানুর রহমান (মিজান)
  ২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই নির্বাচনকে ঘিরে সারা দেশের মতো ভোলা-৩ আসনেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তবে এখনো নির্বাচনের প্রায় ১০ মাস বাকি থাকতেই লালমোহন তজুমদ্দিনের ভোটারদের মধ্যে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। স্থানীয় হোটেল কিংবা চায়ের দোকানে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে জল্পনা-কল্পনা।

এদিকে, দ্বীপ জেলা ভোলার মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে ভোলা-৩ আসন। লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত। এ আসনের পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদী। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্য দলগুলোরও একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

জানা গেছে, ১৯৮৬ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ। তার হাত ধরেই ভোলা-৩ আসন বিএনপির দুর্গে পরিণত হয়েছিল। তবে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এ প্রার্থীকে হারিয়ে আসনটি লাভ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন আহমেদ। তবে তখনো এ আসনে বিএনপির আধিপত্য ছিল। দেড় বছরের মাথায় একটি মামলায় সংসদ সদস্য পদ হারান মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন।

এরপর ২০১০ সালের ২৪ এপ্রিল উপনির্বাচনের মাধ্যমে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক দক্ষতা ও নৈপুণ্যতায় এক সময়ের বিএনপির দুর্গখ্যাত এই আসনটি বর্তমানে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে। ফলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাওন।

এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্রের কয়েকটি দলের একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। এ ছাড়া সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের আলী স্বপনসহ আরও একজন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। তবে বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে দলীয় কার্যক্রমে বা মাঠে দেখা যায়নি।

এদিকে, বিএনপির দুর্গখ্যাত আসনটিকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করায় আগামী নির্বাচনে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে এগিয়ে রাখতে চান স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। তাদের মতে, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে চাঙ্গা রাখতে ও ফের আসনটিতে জয় পেতে হলে নূরুন্নবী চৌধুরী শাওনের বিকল্প নেই।

অপর দিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ, সুপ্রিম কোর্ট শাখার জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, মার্শাল হিমু, চরভূতা ইউনিয়ন পরিষদের আকতারুজ্জামান টিটবের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এ আসনে দীর্ঘ প্রায় ১৩ বছর বিএনপির নেতাকর্মী সব সাংগঠনিক কার্যক্রমের বাইরে থাকায় নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে দলটি।

এ ছাড়া জাতীয় পার্টির (জাপা) সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলটির ভোলা জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুননবী সুমন, মাওলানা কামাল উদ্দিন, ইসলামী শাসনতন্ত্রের হাফেজ মোসলেউদ্দিন ও মাওলানা রাশেদুল ইসলামের নাম শোনা যাচ্ছে।

আগামীকাল : ভোলা-৪ আসনের বিস্তারিত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে