বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় সনাতন ধর্মালম্বীরা সনাতনী পঞ্জিকা মতে বৃহস্পতিবার আড়ম্বরপূর্ণভাবে জামাই ষষ্ঠী উৎসব পালন করেছে। প্রতি বছর বাংলা সনের জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এ ষষ্ঠী পূজা পালিত হয়ে থাকে। এ পর্ব পালন করার জন্য হিন্দু পলস্নীর বাড়িতে বাড়িতে জামাই-মেয়ে ও আত্মীয়দের সমাগম ঘটেছে।
দুপচাঁচিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুদেব কুমার কুন্ডু জানান, সাধারণত সধবা নারীরা এ দিন বিভিন্ন জাতের ফল, ছয়টি পান, ছয়টি সুপারি, বাঁশপাতা, সাদা কাপড়ের টুকরো, নতুন ছয়গাছা সুতা, তুলা,
হলুদ, তেল, দুর্বাঘাস একটি নতুন ডালায় নিয়ে পূজা মন্ডপে রেখে ষষ্ঠীপূজা করে থাকেন। পূজা শেষে নারীরা জামাই ও সন্তানদের মঙ্গল কামনায় কপালে হলুদ ছুঁইয়ে এবং হলুদ রং সম্বলিত সুতা (ষাট সুতা) তাদের ডান হাতে বেঁধে দেন। এ দিন ভোর থেকে নারীরা উপোস থেকে পূজা শেষে ফল এবং দই-চিড়া খেয়ে থাকে। ষষ্ঠীপূজা উপলক্ষে জামাই মেয়েকে তাদের বাড়িতে এনে সাধ্যমতো নতুন পরিধেয় বস্ত্র উপহার দেন। সাধারণত অশ্বত্থমূলে(পাকুর গাছতলায়) বা বনে এ পূজা হয় বলে একে জামাই ষষ্ঠী বা অরণ্য ষষ্ঠীও বলা হয়ে থাকে। এ পূজায় ফলের সমাহার বেশি থাকে।
দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার পালপাড়ার শ্রীমতি শুভ্রা রানী চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা তাদের সন্তানদের মঙ্গলার্থে এ ষষ্ঠীপূজা পালন করে থাকেন। পরিবারের মঙ্গল কামনায় তারা এ পূজাব্রত পালন করে থাকেন।
উপজেলা সদরের পুরোহিত অমীয় মৈত্র বলেন, লৌকিক এ ষষ্ঠী পূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালন করে। এ পূজায় শুধু পরিবার নয় দেশবাসীর জন্য মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।