আজকের যায়যায়দিন

ভোলায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোয় চলছে প্রস্তুতি। দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়াতে চলছে সাজসজ্জা ও সংস্কারের কাজ। ভোলা সদর উপজেলা মেঘনা পাড়ের শাহাবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্র, ইলিশ বাড়ি, মেঘনা রিসোর্ট, বেবিল্যান্ড শিশু পার্ক, লালমোহনের সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক, চরফ্যাশনের শেখ রাসেল শিশু পার্কসহ অন্য বিনোদন স্থানগুলোয় চলছে শেষ সময়ের কার্যক্রম।

মেঘনা পাড়ের ইলিশ পর্যটন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মো. হেলালউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিবছর ঈদ এলে দর্শনার্থীর বাড়তি চাপ থাকে। তাই আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ইলিশ বাড়ি আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে একটি ইলিশ টাওয়ারের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই টাওয়ারের ওপর থেকে পুরো মেঘনা ও এর আশপাশের চিত্র সহজেই অবলোকন করা যাবে। এ ছাড়া নদীতীরে বসার বেঞ্চ ও ছাতা স্থাপনের কাজ চলছে।'

ভোলা খেয়াঘাট এলাকার বেবিল্যান্ড শিশু পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. মিজানুর রহমান জানান, মূলত দুই ঈদ, পূজা ও শীত মৌসুমে তাদের এই পার্কটি জমজমাট থাকে। এই পার্কটি শিশুদের জন্য নানা রকম রাইডস দিয়ে সাজানো হয়েছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পার্কটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য সংস্কার কাজ চলছে।

ভোলা তুলাতুলি এলাকার শাহাবাজপুর মেঘনা পর্যটন কেন্দ্রে'র পরিচালক আবিদুল আলম জানান, এবারের ঈদে বৃষ্টি একটি বাধার কারণ হতে পারে। তারপরও তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

এ ছাড়া ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, জেলা পরিষদ পুকুর পাড়, টাউন স্কুল মাঠ, লালমোহনের সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্কসহ অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঈদকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত।

ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার জানান, ঈদে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন বাড়িতে আসেন। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে বেড়াতে যান। তাদের এই ভ্রমণ নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের বিভিন্ন টিম কাজ করবে বিনোদন কেন্দ্রগুলোয়।