সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

শাজাহানপুরে দুই দিনের ব্যবধানে বেড়ে দ্বিগুণ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
  ০২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

ঈদের আগের দিনেও যে কাঁচা মরিচ ছিল ২৫০ টাকা কেজি সেই মরিচ এক লাফে বাজারে এখন ৫০০ টাকা কেজি। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের হাতের নাগালের বাইরে কাঁচা মরিচ। আর সমাজের ধনীরা কিনছে ৫০-২৫ গ্রাম কাঁচা মরিচ।

শনিবার ১ জুলাই উপজেলার বনানী, মাঝিড়া, বি-বস্নক, রানীরহাট ও আড়িয়া বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতাদের অভিযোগ, চাহিদার চেয়ে মরিচের জোগান কম থাকার অজুহাত দিয়ে অতি মুনাফালোভীরা এই দাম বাড়িয়েছে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য খাজনার নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও পথেঘাটে পাইকাড়দের কাছ থেকে চাঁদাবাজি রোধ এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে মরিচ না থাকার কারণে বেশি দামে কিনে কম লাভে বিক্রি করছেন।

সরেজমিন বাজারগুলো ঘুরে ৬

দেখা যায়, সবজির বাজারে চলমান আগুনে উত্তাপ বাড়িয়েছে কাঁচা মরিচ। বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের যে ঝাঁঝ

তাতে হাত দেওয়াই যাচ্ছে না। কাঁচা মরিচের দামে কোনোই নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যেভাবে পারছে দাম বাড়িয়েই চলছে। সুমনা খাতুন বলেন, ঈদের আগের দিন যে কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা কেজি ছিল। ঈদের পরদিনই তার দাম দ্বিগুণ। তিনি বলেন, 'বাজার করতে এসেছি ৫০০ টাকা নিয়ে। এ টাকা দিয়ে বাজারও করা যাচ্ছে না, মরিচ কেনাও তো সম্ভব হচ্ছে না। একে তো নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য লাগামহীন এতে করে আমাদের মতো মানুষের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠেছে। আগে যেখানে ১ কেজি কাঁচা মরিচ কিনতাম আর আজ ২৫০ গ্রামও কিনতে পারছি না। তারপরও চিন্তায় আছি আরও দাম বাড়লে জীবন চলা কঠিন হয়ে যাবে।' সবজি বিক্রেতা আমজাদ বলেন, পাইকারদের কাছ থেকে তারা মরিচ পাচ্ছেন না। ফলে বাজারে মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন মরিচের পাইকার বলেন, সবজি-মরিচ কেনার সময় ইজারাদাররা খাজনার নামে চাঁদাবাজি করায় অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এসব দেখেও কেউ দেখেন না। আবার পথে পথে টাকা দিতে হয়। তাই বর্তমানে একে তো মরিচের স্বল্প আমদানি। তারপর এসব কারণে মরিচের উচ্চদাম হচ্ছে। তবুও কে শোনে কার কথা।

উপজেলার জমাদার হাট, খরনা হাট, রানীর হাট, পানিহালী ও শাহনগর হাটের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশি কাঁচা মরিচ দিয়েই স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটছিল। কিন্তু এখন আমদানি কম তারপর সরবরাহে নানাভাবে টোল আদায়ে মূল্য বৃদ্ধি পায়। ফলে সরবরাহ করতে না পারায় বাজারে মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে এবং দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

তাই জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ক্রেতা-বিক্রেতাদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে