ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত তেলবাহী ট্যাংকার সাগর নন্দিনী-২ ডুবতে বসলেও এখনো নৌযানটি থেকে সম্পূর্ণ জ্বালানি তেল অপসারণ করা হয়নি। বিস্ফোরণের পর ছয় দিন হয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটিতে চার লাখ লিটার পেট্রোল রয়ে গেছে, যেটি অপসারণে ঝুঁকির কথা বলছে ফায়ার সার্ভিস।
পরপর দুই দফা বিস্ফোরণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ট্যাংকারটির বিভিন্ন স্থানে ছিদ্র হয়ে পানি উঠছে। এ অবস্থায় বুধবার বিকাল থেকে দুটি বাল্কহেড বসিয়ে পাম্প মেশিনের সাহায্যে সেখান থেকে পানি সরানো হচ্ছে। তেল পুরোপুরি সরানোর আগেই ট্যাংকারটি ডুবে গেলে সেগুলো নদীতে মিশে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ কুতুবী বলেন, 'ট্যাঙ্কারে থাকা অবশিষ্ট তেল অপসারণে ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও নির্দেশনা ছাড়া তা এখনই অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না।' তবে পানি উঠে ট্যাঙ্কার যাতে ডুবে যেতে না পারে, সে জন্য তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
২৯ জুন ঈদের দিন পদ্মা ওয়েল কোম্পানির জন্য ১১ লাখ লিটার জ্বালানি তেল নিয়ে সাগর নন্দিনী-২ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর পাড়ে আসে। রাজাপুর গ্রামের কাছে সেটি নোঙ্গর করা ছিল। কিন্তু ১ জুলাই ট্যাংকারটিতে হঠাৎ বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। ওই ঘটনায় পর্যায়ক্রমে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই বিস্ফোরণের দুই দিনের মাথায় সোমবার ফের ওই ট্যাংকারে বিস্ফোরণে আগুন ধরে গেলে পুলিশসহ ১৫ জন দগ্ধ হন। ফায়ার সার্ভিস সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলাও হয়নি। জানতে চাইলে ঝালকাঠি সদর থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, 'আমার কোনো অভিযোগ পাইনি।'