রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
এডিটরস গিল্ডের বৈঠকে বক্তারা

বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে

যাযাদি ডেস্ক
  ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বর্তমান বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশ একটি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ায় দক্ষিণ এশীয় রাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশকে পাশে চায়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশকে পাশে চায়। এই সময়ে বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে নিজের সুবিধা আদায়ের সুপারিশও করেন বিশিষ্টজনরা।

শনিবার রাজধানীর বনানীর ঢাকা গ্যালারিতে 'এডিটরস গিল্ড' আয়োজিত 'বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেস ক্লাবের

সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

বৈঠকে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ডক্টর জাইদী সাত্তার বলেন, 'বিশ্ব অর্থনৈতিক মানচিত্রে বাংলাদেশের এখন একটা অবস্থান হয়ে গেছে। আইএমএফ যখন গেস্নাবাল ম্যাপ তৈরি করে, সেখানে বাংলাদেশ রয়েছে। যাদের উন্নত দেশ হিসেবে ধরা হয় এ রকম ১৫টি দেশ রয়েছে, যারা বাংলাদেশে থেকে পিছিয়ে আছে ইকোনমিক সাইজের দিক দিয়ে। এই ইকোনমিক সাইজ ম্যাটার ইন জিও পলিটিকস। বিশেষ করে বিশ্বায়নের ফলে ইমাজিন মার্কেট ইকোনমি এবং ডেভেলপমেন্ট ইকোনমি- এই দুই গ্রম্নপ ধীরে ধীরে গেস্নাবাল ইকোনমিতে বড় রোল পেস্ন করতে থাকল। যেখানে জি-৭ এর শেয়ার ছিল ৫০ কিংবা ৬০ শতাংশ গেস্নাবাল ইকোনমিতে। সেখানে ইমাজিন মার্কেট ও ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক মার্কেট, বিশেষ করে এশিয়া প্যাসিফিক, তারা এখন গেস্নাবাল ইকোনমিতে প্রায় ৪৭ শতাংশ শেয়ারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে জন্য জি-৭ কে জি-২০ তে নিয়ে এসে মার্কেটা বড় করছে। পরবর্তী সময়ে যখন জি ২৫ হবে, তখন বাংলাদেশও বড় ভূমিকা রাখবে।'

সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক সচিব মোফাজ্জল করীম বলেন, 'এটা প্রচলিত পদ্ধতি হয়ে গেছে যে, এসব সম্মেলন শেষে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে শুনবো এক বিশ্ব করার জন্য সবাই একমত হয়ে গেছে। কিন্তু বাস্তবে নয়া দিলিস্ন থেকে বাড়ি যেতে যেতে এসব কথাবার্তা উড়ে যাবে। যদি এ রকমই হতো তাহলে তৃতীয় বিশ্ব বলে কোনো কথা থাকতো না। তাই প্রত্যেক দেশেই সেটা বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান যেই হোক না কেন, সবাই তার সক্ষমতায় বিশ্ব দরবারে মূল্যায়িত হবে। এক্ষেত্রে ভারত বুঝতে ভুল করেনি। তাদের একটা পার্টনার দরকার ছিল এই অঞ্চলে। তাই তারা বাংলাদেশকে পাশে চেয়েছে সব সময়।'

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক হেলাল মোর্শেদ বলেন, 'আমাদের অবস্থান এবং বর্তমান বিশ্বে যে জিও পলিটিক্যাল সিস্টেম, সেই কারণে আমরা ঘুরে ঘুরে এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছি। জিও পলিটিক্সটা একটা নতুন ধারায় চলে আসছে।'

\হবৈঠকে বিআইআইএসএস-এর গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ডক্টর মাহফুজ কবীর বলেন, 'বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি গেস্নাবাল ইনভেস্টমেন্টের জন্য বড় ডিরেকশন। যদিও এখনও বড় ইনভেস্টমেন্ট আসছে না, কিন্তু আল্টিমেটলি তারা ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করছে। বাংলাদেশকে তারা নিজেদের পার্টনার হিসেবে দেখতে চায়। বাংলাদেশের লেভেলটা যে ওপরে উঠছে, সেটা বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বুঝতে পারছে।'

\হবৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, মানবাধিকারকর্মী রোকেয়া কবীর, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ডক্টর সাহাব এনাম খান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. মশিউর রহমান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে