রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জীবনে সফল হতে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি ডিএনসিসি মেয়র আতিক

যাযাদি রিপোর্ট
  ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আগে ওষুধের দোকানে গ্যাসের ওষুধ, প্যারাসিটামল এসব বেশি বিক্রি হতো কিন্তু বর্তমানে ডিপ্রেশনের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে উলেস্নখ করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, জীবনে সফল হতে হলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি যুবসমাজকে খেলাধুলায় অংশ নিতে হবে। খেলাধুলায় অংশগ্রহণ মানুষকে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি ডিপ্রেশন থেকে দূরে রাখে।

শুক্রবার গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে ঢাকা ফ্লো আয়োজিত 'ফেস্টিভ্যাল অব ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, 'বনানীতে আমরা আধুনিক খেলার মাঠ নির্মাণ করে দিয়েছি। আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট পিচ রয়েছে এই মাঠে। কালশী ফ্লাইওভারের পাশে বালুর মাঠে ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ ও শিশু পার্ক নির্মাণ করা হবে। আগারগাঁওয়ে যেখানে বাণিজ্য মেলা হতো, সেটিও খেলার মাঠ হবে।'

আমরা সুন্দর সামাজিক বন্ধন ও একটি সুন্দর সমাজ চাই উলেস্নখ করে মেয়র বলেন, 'আমরা চাই সুস্থ সামাজিক চর্চা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। সামাজিক উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। বিভিন্ন সোসাইটি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাদের প্রতি আমি আহ্বান করছি, একটি সুস্থ ও সুন্দর নগরী গড়তে সবাইকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক উৎসব ও অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। ডিএনসিসি এই উদ্যোগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।'

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গুলশানের সবার বাসায় বসে থাকার কথা ছিল কিন্তু আজ সবাই বাসা থেকে বেরিয়ে এ উৎসবে যোগ দিয়েছেন। সবাই সবার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। এই মিলন মেলার মাধ্যমে একটি বন্ধন তৈরি হয়েছে। শহরে দেখা যায়, প্রতিবেশীরা এক ভবনে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করেও কেউ কাউকে সেভাবে চেনেন না। নিজেদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। তাই প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বিভিন্ন সামাজিক উৎসবের আয়োজন করতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'জীবনে সফল হতে হলে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত এক্সারসাইজ, খেলাধুলা, মেডিটেশন, হেলদি ফুড, সুস্থ-সুন্দর বিনোদন এগুলো। যারা ব্যায়াম করে, ইয়োগা করে, খেলাধুলা করে, গান গায়, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে আমি তাদের পছন্দ করি। কিন্তু যারা ক্ষমতা প্রয়োগ করে অবৈধভাবে মাঠ, পার্ক ও খাল দখল করে আমি তাদের অপছন্দ করি, আমি তাদের বিরুদ্ধে।'

পরে মেয়র বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন ও বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন খেলায় অংশ নেন।

শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এ উৎসবে ইয়োগা সেশন অনুষ্ঠিত হয়। পুরো পার্কে ছিল বাহারি পণ্যসামগ্রীর প্রায় ৩৫টি স্টল, বায়োস্কোপ, পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো, স্বাস্থ্যসেবা স্টল, পাটের তৈরি পণ্য। এছাড়া আরও ছিল উইশ বোর্ড, শিশুদের ছবি আঁকার ক্যানভাস ও রং তুলি, নানা ধরনের খেলার সামগ্রী। ১০ ও ১১ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টা পর্যন্ত এ উৎসব চলবে।

গুলশান ও বনানীর স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে