সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী সংসদে দেশে ফেসবুককে নিবন্ধনে আনতে আইন হবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

আগামী সংসদে ফেসবুকসহ দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধনের আওতায় আনতে নতুন আইন করা হবে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এখন তো আইন করার সময় নেই। আগামী পার্লামেন্টে ইনশাআলস্নাহ এ বিষয়ে আইন হবে বলে আমি আশা করি।'

মঙ্গলবার সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরে 'গুজব প্রতিরোধ সেল এবং ফ্যাক্টস চেকিং কমিটির' সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে আইন করেছে উলেস্নখ করে ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, 'ভারত আইন করেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সকল সার্ভিস প্রোভাইডারদের সেখানে নিবন্ধিত হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইন করেছে, সেখানে নিবন্ধিত হতে হয়। যুক্তরাজ্য আইন করেছে, সেখানে নিবন্ধিত হতে হয়। অন্যান্য দেশ আইন করেছে, আমাদের দেশে এখনও আইনটি হয়নি।'

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কর্তৃপক্ষ সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি জানিয়ে তিনি বলেন, 'বারবার তাগাদা দিচ্ছি। এখানে অফিস করার জন্য বলছি এবং বাংলাদেশের আইনে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য বলছি। তবে তাদের এখানে নিবন্ধিত হতেই হবে সেই বাধ্যবাধকতা আরোপ করার আইনটি এখনও করা হয়নি। সেটি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।'

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধনের আওতায় আনতে নতুন আইন করার বিষয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

'বিদেশে বসে গুজব ছড়িয়ে আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার সুযোগ নেই' মন্তব্য করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, 'বিদেশ থেকে গুজব ছড়ানো হয়, সেটির ব্যাপারে আমরা ওয়াকিবহাল, তবে আগের তুলনায় কমেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই গুজব ছড়ানোর জন্য বিএনপি এবং জামায়াত তাদেরকে নিয়মিত পয়সা দেয়। পয়সা না দেওয়ার প্রেক্ষিতে বা কম দেওয়ার প্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে, সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে।'

তিনি বলেন, 'দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটানোর জন্য যদি একটি রাজনৈতিক দল গুজব রটনাকারীদের পয়সা দেয়, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। আমরা তাদেরকে চিহ্নিত করেছি যারা গুজব রটায়। এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেক জায়গায় তাদের ব্যাপারে নোটিফাই করা হয়েছে।'

মন্ত্রী বলেন, 'দেশে যখন কেউ গুজব রটায়, তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলা যদি আইসিটি অ্যাক্টে হয়, তখন আবার পত্রিকায় প্রশ্ন করে কেন মামলা হল। গুজবটাতো অনলাইনেই ছড়ানো হয় বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সেটি তো ডিজিটাল মাধ্যম। ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ালে তো ডিজিটাল আইনেই মামলা হবে। কিন্তু সে মামলা করলে তখন আবার অনেকে বলে, আবার কেউ কেউ চেঁচামেচি করে কেন মামলা হলো, এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রেপ্তার করলে তো সেটি নিয়ে আরও বেশি কথাবার্তা হয়, সে কি করেছে সেটি তখন ঢাকা পড়ে যায়।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে