শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

হানাহানি-সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্য দায়ী ভুয়া অনলাইন :তথ্যমন্ত্রী

যাযাদি ডেস্ক
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
হানাহানি-সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার জন্য দায়ী ভুয়া অনলাইন :তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেছেন 'দেশে যত ধরনের হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে সবগুলোর জন্য ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী।' বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নাসিরনগর, রামু, কুমিলস্না, বরিশালে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ঘটনায় ভুয়া অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দায়ী। এসব ব্যাপারে আমাদের এক্সট্রা কেয়ারফুল হতে হবে। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে।

বিএনপির সমালোচনা করে ডক্টর হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে যা করা হচ্ছে চোরাগোপ্তা হামলা, পেট্রোল বোমা মারা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ হতে পারে? সন্ত্রাসী কার্যক্রম এই ঘটনাগুলোকে বর্ণনা করার জন্য যথেষ্ট নয়। গত ২৮ তারিখ যেভাবে পিটিয়ে পুলিশকে হত্যা করা হয়েছে, বর্বরভাবে সাংবাদিককে পেটানো হয়েছে, সাপ পেটানোর সময় মানুষ এরকম করে কি না সন্দেহ আছে।? তারা সেই কাজটি করেছে। গণমাধ্যমের সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন তাহলে এই কাজ তারা করতে পারবে না।

সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিকাশ এবং বিস্তৃতিতে বিশ্বাস করে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি গণমাধ্যমের বিকাশের সঙ্গে রাষ্ট্রের বিকাশ যুক্ত। গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা যুক্ত। বহুমাত্রিক জনমতের বিকাশ যুক্ত। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ যুক্ত। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।?

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে উলেস্নখ করে তিনি আরও বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি সিম ইউজ হয়। কারও দুই-তিনটা করে সিম। আমরা সরকার গঠন করার আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ, এখন সেটা ১২ কোটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন ৬ থেকে ৭ কোটি মানুষ। এখন দেশ সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল হয়েছে।?

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ৩৫টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে, সরকারি ৪টি টেলিভিশন আছে। আমরা প্রায় ৫০টি টেলিভিশনের লাইসেন্স দিয়েছি। এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ৫৬০ থেকে ১২৬০টিতে উন্নীত হয়েছে। পত্রিকা এবং অনলাইন মিলে ২০০ কাছাকাছি পোর্টাল আমরা রেজিস্ট্রেশনের অনুমতি দিয়েছি। নতুন গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ায় অনেক মানুষের চাকরির সংস্থান হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে