রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উদ্ভাবনীর্ যাংকিংয়ে শীর্ষে সিকৃবি

সিকৃবি প্রতিনিধি
  ১৪ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্‌ে পালস্না দিয়ে উদ্ভাবনী পদমর্যাদায় এক নম্বর স্থান অর্জন করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। স্পেনভিত্তিক সিমাগো ইনস্টিটিউশনর্ যাংকিং-এর ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এইর্ যাংকিং প্রকাশ পেয়েছে।

এ ছাড়াও ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বায়োকেমিস্ট্রি, জেনেটিক্স অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিষয়ে এবং ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইনফেকশাস ডিজিজ বিষয়েও প্রথম স্থান অধিকার করেছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন ও ই-গভার্ন্যান্স কমিটির ফোকাল পয়েন্ট খলিলুর রহমান ফয়সাল জানান, ২০২৪ সালে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষা, গবেষণা, সামাজিক, সামজিকতা, স্বাস্থ্য, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে এইর্ যাংকিং নির্ধারণ করা হয়েছে।

সামগ্রিকর্ যাংকিং-এ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে দুই নম্বর অবস্থানে। সামগ্রিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। তবে কৃষি ও জীব বিজ্ঞান-বিষয়ক অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম স্থান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় স্থান, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। কৃষি বিষয়কর্ যাংকিং-এ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সপ্তম স্থানে।

সিলেটের আরেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২১তম স্থান অর্জন করেছে।

এদিকের্ যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাপূর্ণ অর্জনে আনন্দে ভাসছে পুরো ক্যাম্পাস। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, 'এই অর্জন সবার। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে যারাই এই অসামান্য অর্জনে অবদান রেখেছেন, তাদের সবাইকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। উদ্ভাবন হলো অগ্রগতির প্রাণশক্তি। কৃষি শিক্ষার প্রেক্ষাপটে একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যৎ গঠনে উদ্ভাবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আজকের দ্রম্নত বিকশিত বিশ্বে, কৃষি খাতের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলো বৈচিত্র্যময় এবং জটিল। এই চ্যালেঞ্জগুলোকে কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতেই হবে। সিকৃবির এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী উদ্ভাবক ও গবেষকদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এখানকার মেধাবী শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম প্রতিষ্ঠানকে শুধু উন্নতই করেনি, বরং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।'

ভাইস চ্যান্সেলর আরও বলেন 'বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে আমরা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তত্ত্বাবধানে এপিএ-কে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের ইনোভেশন ও ই-গভার্ন্যান্স টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবনী কার্যক্রম তদারকি করছে। সেবা সহজীকরণ ও ইনোভেশন শোকেসিংয়ের মতো কর্মসূচি তারা হাতে নিয়েছে।'

স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে