খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ট্রানজিট এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বাড়ায়। বিশ্বায়নের যুগে একা থাকলে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে না। বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেন, তিনি গোলামী চুক্তি করেননি। বিএনপি মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে।
সোমবার দুপুরে পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় 'কৃষি প্রযুক্তি মেলা-২০২৪'র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। এই ক্ষুধাকে জয় করতে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। ধান রোপণ ও ধান কাটা মাড়াই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ধান কাটার সময় শ্রমিক সংকট হয়। হাজার-বারোশ' টাকা দিলেও শ্রমিক পাওয়া যায় না। মেশিনের মাধ্যমে সহজেই অল্প সময়ে অধিক জমির ফসল কেটে তোলা সম্ভব। তবে কৃষক ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত সুবিধা নিতে শুরু করেছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোথাও যেন এক ইঞ্চি জমিও পতিত না থাকে। সে কারণে চাষাবাদ বাড়াতে হবে। ঘরের আশপাশের জমিতেও মরিচ-পেঁয়াজের চাষ করলে পরিবারের খরচ কমবে। দেশের সামগ্রিক উৎপাদনে এর গুরুত্ব আছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা উপবৃত্তি দিয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখায় উৎসাহিত করছেন। তিনি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে একই পস্নাটফর্মে নিয়ে আসতে চান। উন্নয়ন করতে চান সবার। উন্নয়ন থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব উলেস্নখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চলমান বোরো সংগ্রহে সরকার চালের দাম এক টাকা বাড়িয়েছে। অপরদিকে ধানের দাম বাড়িয়েছে দুই টাকা। ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বলে উলেস্নখ করেন তিনি।
পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ আদনানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান খোকন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান। অন্যদের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল হক টিটো, মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, প্রেস ক্লাব সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন ও বর্ণাঢ্য একর্ যালিতে অংশ নেন এবং মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এ ছাড়া বিকালে খাদ্যমন্ত্রী নিতপুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭)-এর ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এবং খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন।