বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস দেশ কাল শিল্পরূপ

আহমদ মতিউর রহমান
  ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস দেশ কাল শিল্পরূপ
সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস দেশ কাল শিল্পরূপ

বাংলা সাহিত্যজগতে সৈয়দ শামসুল হক একজন অনন্য সাধারণ বহুমুখী প্রতিভা হিসেবে বিশাল অবদান রেখেছেন। তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি কথাসাহিত্যে, কাব্যসাহিত্যে, চিত্রনাট্যকার হিসেবে চলচ্চিত্র অঙ্গনে এবং আমাদের সঙ্গীত ও নাটকে। এ রকম সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করতে পারঙ্গম প্রতিভা আমাদের খুব বেশি নেই। তাই তার পরিচয় 'সব্যসাচী লেখক' হিসেবে। এই সব্যসাচী শব্দ দিয়ে সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণকারী হিসেবে আমরা বুঝে থাকি। তবে এই শব্দের নিগলিত হয়তো অন্য কিছু।

সমালোচকের ভাষায় বলতে হয়, 'বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের আবেগ-অনুভূতি-বিকার সবই খব সহজ কথা ও ছন্দে ওঠে এসেছে তার লেখনিতে।' আসলেও তাই। তিনি ছিলেন আমাদের একজন পাঠকপ্রিয় লেখক। তিনি তার কথাসাহিত্যে যে চরিত্র সৃজন করেছেন, যে জীবনচিত্র অংকন করেছেন তা সাহিত্যের বিচারে অসামান্য সন্দেহ নেই। এতে ধরা দিয়েছে আমাদের দেশ ও সময়কাল। তার চরিত্রগুলো আমাদের সমাজেরই একটি অংশ থেকে ওঠে আসা। তাদের সংলাপে, উপন্যাসের কাহিনীভঙ্গীতে বাংলাদেশকেই যেন খুঁজে পাই আমরা। স্বল্প পরিসরে তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নয়। আবার কেউ কেউ ভিন্নমতও দিয়ে বলতে চেয়েছেন তার লেখায় বা এসবের মাঝে কৃত্রিমতাও আছে। জেমস জয়েসের ইউলিসিস উপন্যাসের মাধ্যমে যে চেতনা প্রবাহ রীতি সাহিত্যে এলো, বাংলাদেশের সাহিত্যে তার যথাযথ প্রয়োগ হয়েছে কি না, এ রকম একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। সৈয়দ ওয়ালীউলস্নাহর কথা সাহিত্যে তার প্রয়োগ কিছুটা দেখি। সৈয়দ শামসুল হকে সেটা তেমনভাবে নেই বা বলা যেতে পারে আছে কি না পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন। মোটকথা সৈয়দ শামসুল হকের কথাসাহিত্য তথা সাহিত্যের যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া প্রয়োজন।

1

২.

সৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জন্মস্থান কুড়িগ্রাম জেলার সরকারি কলেজের পাশে তাকে দাফন করা হয়। উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুড়িগ্রামে যখন তিনি জন্ম গ্রহণ করেন তখন সেটা জেলা ছিল না, ছিল মহকুমা আর সেই সময়টা ছিল বৃটিশ আমল। আরও পরিষ্কার বললে বলতে হয়, কুড়িগ্রাম তখন বৃটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই বছরেই (১৯৩৫) ভারত শাসন আইন চালু করে বৃটিশ সরকার প্রশাসন পরিচালনায় এ দেশীয়দের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে। তার বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও মা হালিমা খাতুন। বাবা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। সৈয়দ হক তার বাবা-মায়ের আট সন্তানের জ্যেষ্ঠতম। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। সেখানে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুলে। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে সৈয়দ শামসুল হক ম্যাট্রিক (বর্তমানের এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। সৈয়দ শামসুল হকের পিতার ইচ্ছা ছিল তাকে তিনি ডাক্তারি পড়াবেন। পিতার ইচ্ছাকে অগ্রাহ্য করে তিনি ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে পালিয়ে মুম্বাই (সাবেক বোম্বাইয়ে বা বম্বেতে) চলে যান। সেখানে তিনি বছরখানেকের বেশি সময় এক সিনেমা প্রডাকশন হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এটা তিনি করেছিলেন চলচ্চিত্র বানানোর নেশা বা বাসনা থেকে। তিনি চলচ্চিত্রকার হননি কিন্তু বোম্বাই যাওয়াটি তার কাজে এসেছিল। কেন না পরবর্তী জীবনে তিনি চিত্রনাট্যকার হিসেবে, সিনেমার গান লিখে সাফল্য ও অর্থ দু'ই পেয়েছিলেন। যাহোক, ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি দেশে ফিরে এসে জগন্নাথ কলেজে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হন। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে স্নাতক পাসের আগেই ১৯৫৬ সনে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর তার প্রথম উপন্যাস 'দেয়ালের দেশ' প্রকাশিত হয়।

বাবা মারা যাবার পর অর্থকষ্টে পড়লে তিনি চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য লেখা শুরু করেন। ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেন। পরে তোমার আমার, শীত বিকেল, কাঁচ কাটা হীরে, ক খ গ ঘ ঙ, বড় ভাল লোক ছিল, পুরস্কারসহ আরও বেশ কিছু চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেন। বড় ভাল লোক ছিল ও পুরস্কার নামে দু'টি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ত্যাগ করে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে বিবিসির বাংলা খবর পাঠক হিসেবে চাকরি গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের খবরটি পাঠ করেছিলেন। পরে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বিবিসি বাংলার প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রথিতযশা লেখিকা ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হককে তিনি বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।

আগেই বলেছি আট ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন সৈয়দ শাসসুল হক। ১৯৫১ সালে 'অগত্যা' নামে একটি ম্যাগাজিনে তার প্রথম প্রকাশিত লেখাটি ছিল একটি গল্প। এরপর তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়ার সময়ে পুরোদমে লেখালেখি শুরু করেন তিনি। প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস 'দেয়ালের দেশ'। এরপর তিনি অনেক উপন্যাস লিখেছেন। তরুণ লেখকেরা প্রভাবিত হয়েছেন তার লেখায়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তার উপন্যাস সম্পর্কে বলেছেন, 'সৈয়দ শামসুল হকের রচনায় সমসাময়িক বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়েছে। আগের বড় লেখকেরা সকলেই গ্রামকেন্দ্রিক উপন্যাস বা গল্প লিখেছেন। সৈয়দ শামসুল হক নতুন উদীয়মান মধ্যবিত্তের কথা ভালো করে বললেন এবং মধ্যবিত্ত জীবনের বিকারকেও তিনি ধরলেন।'

বলা হয়ে থাকে আধুনিক কথা সাহিত্যমাত্রই আত্মজৈবনিক। লেখক জীবন অভিজ্ঞতা থেকেই কথা সাহিত্য রচনা করেন। আরও একটা কথা বলা হয় উপন্যাসে একটা জীবনার্থ থাকবে, লেখক কি বলতে চান তার উপন্যাস তা জানান দেয়। শামসুল হকের উপন্যাসে জীবন অভিজ্ঞতা কতখানি আর কল্পনা কতখানি তা পাঠক নির্ধারণ করবেন। তবে এগুলোতে জীবনার্থ তেমনটা মিলবে বলে মনে হয় না। যে কারণে সমালোচকরা তার লেখাকে বাস্তবতাবর্জিত বা কৃত্রিম বলে বর্ণনা করার প্রয়াস পেয়েছেন।

৩.

সৈয়দ শামসুল হক কবি হিসেবেও সার্থক। পরবর্তী প্রজন্মের কবিদের জন্য পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয় তার রচিত কাব্যগ্রন্থ 'বৈশাখে রচিত পঙ্‌?ক্তিমালা'। আধুনিক সময়ে কোনো কবির এত দীর্ঘ কবিতা বেশ বিরল। তার এই কাব্যগ্রন্থের কারণে তিনি তখন আদমজী পুরস্কার লাভ করেন। তার আরেক বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ 'পরানের গহীন ভিতর' দিয়ে তিনি তার কবিতায় আঞ্চলিক ভাষাকে উপস্থাপন করেছেন।

কবি অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদের মতে, সৈয়দ হক তার কবিতা দিয়ে বারবার সাড়া ফেলেছেন।

'কবিতায় তার ধারাবাহিকভাবে যে অবদান তা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সৈয়দ হককে অনুসরণ করে আমাদের কালের কবিরা বা তার পরবর্তী কালের কবিরা আঞ্চলিক ভাষায় কবিতা লেখার চেষ্টা করেছেন। তার 'খেলারাম খেলে যা' অনুকরণ করে আমাদের কথাসাহিত্যিকেরা লিখেছেন। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ হকের অবদানকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।'

সৈয়দ শামসুল হক তার কর্মজীবনের প্রায় সাত বছর কাটিয়েছেন লন্ডনে বিবিসি বাংলা বিভাগের সঙ্গে। বিবিসি বাংলা থেকে সংবাদ পরিবেশন করেছেন ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে। বিবিসি বাংলায় তার সহকর্মী তালেয়া রেহমান বলেন, 'উনি নাটক এবং অভিনয়ে আগ্রহী ছিলেন, নির্দেশনাও দিয়েছেন। বিশেষ করে ক্লাসিক্যাল নাটকের অনুবাদে তার আগ্রহ ছিল। এছাড়া বিবিসির যেমন কাজ সেটা তিনি করে গেছেন সেগুলো নিশ্চয়ই তার ভালো লাগেনি।' পরবর্তীতে সৈয়দ শামসুল হকও এক সাক্ষাৎকারে বলেন, নাট্যকার হিসেবে তার কাজের সূচনাটি হয়েছিল বিবিসি বাংলায় নাটক করবার অভিজ্ঞতা থেকেই। নাট্যকার হিসেবে সৈয়দ শামসুল হক ছিলেন দারুণ সফল। বিশেষ করে তার রচিত দু'টি কাব্যনাট্য 'নূরুলদিনের সারাজীবন' এবং 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' বাংলা নাটকে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে। নাগরিক নাট্যদলের হয়ে 'নূরুলদিনের সারা জীবন' নাটকটির অন্যতম একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন আসাদুজ্জামান নূর। নূর বলেন, 'তার যে শব্দের ব্যবহার, রূপকল্প, কাব্যময়তা এবং তার সঙ্গে সঙ্গে নাটকের যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত এই সমস্ত কিছু তিনি যেভাবে ধারণ করেছেন বাংলা নাটকে। এই ঘটনা আর কেউ ঘটাতে পেরেছে বলে আমি মনে করি না।'

শিল্পক্ষেত্রে সৈয়দ শামসুল হকের অবদান শুধু নাটকেই সীমাবদ্ধ নয়, তিনি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন, চলচ্চিত্রের জন্য গানও রচনা করেছেন। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার রচিত 'হায়রে মানুষ, রঙ্গিন ফানুস' গানটিসহ আরও কিছু গান এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

৪.

তার আরও কিছু রচনা ব্যতিক্রমধর্মী। আমাদের সাহিত্যিকদের মধ্যে সৈয়দ শামসুল হক ভাষার ব্যবহার নিয়ে লিখেছেন 'হৃৎকলমের টানে' বা 'কথা সামান্যই' নামে দুটো কলাম। এগুলো কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তিনি একইসঙ্গে একজন সৃষ্টিশীল লেখক এবং ভাষার ব্যবহারে ছিলেন অত্যন্ত সচেতন। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলছেন, 'বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে সৈয়দ শামসুল হক তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।' আমরাই তাই মনে করি।

হক কথা হচ্ছে যে, লেখক শিল্প-সাহিত্যের এতগুলো অঙ্গনে তার পদচিহ্ন রেখেছেন, তাকে বাঙালি কী হিসেবে মনে রাখবে? বলা হয়ে থাকে তিনি যদি অন্য সব বাদ দিয়ে দুটো বই লিখতেন 'পরানের গহীন ভেতর' এবং 'বৈশাখে রচিত পঙ্‌?ক্তিমালা' তাহলে এ দুটো বই তাকে অমর করে রাখত। তিনি যদি শুধু তার কাব্যনাট্যগুলো লিখতেন 'নূরুলদিনের সারাজীবন' এবং 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' তাহলেও আমরা চিরদিনের জন্য তাকে বাংলা সাহিত্যে স্মরণ করতে বাধ্য থাকতাম। আবার বলা যায়, ষাটের দশকে তিনি সিনেমার যে কাহিনী চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন অন্য কিছু না করলে শুধু এ জন্যই তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকতেন। দেখা যাচ্ছে তিনি ছিলেন একজন ভার্সেটাইল জিনিয়াস। ফলে মহাকাল তাকে মনে না রেখে পারে না।

তার কবিতা-নাটক-কলাম-সিনেমা সবটা মিলিয়ে যে ব্যক্তিত্বটি দাঁড়ায় তা তুলনারহিত। ৭টি ছোটগল্প গ্রন্থ, ২২টি কবিতার বই, ৩৪টি উপন্যাস, ৮টি কাব্যনাট্য ও ৪টি অনুবাদ গ্রন্থ ও আত্মজীবনীসহ আরও ৫টির মতো বই তার রয়েছে। সব মিলিয়ে বইয়ের সংখ্যা ৮৫টির মতো। এত অধিক সংখ্যক বই সমসাময়িক কম লেখকেরই রয়েছে। সৈয়দ শামসুল হক মাত্র ৩১ বছর বয়সে ১৯৬৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেছিলেন। বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়া সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে কম বয়সে এ পুরস্কার লাভ করেছেন। এটা তার প্রতিভারই স্বাক্ষরবাহী। এছাড়া বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক এবং ২০০০ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আরও কিছু পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। নিজ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা সাহিত্য অঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন লেখক সৈয়দ শামসুল হক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে