রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রতারক গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৬ মে ২০২৩, ০০:০০

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। গ্রেপ্তার প্রতারক অনলাইন জুয়ার সঙ্গেও জড়িত।

এনএসআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ৪ মে ঢাকার বালুঘাট এলাকা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার পিতার নাম হারুনুর রশীদ। বাড়ি নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানাধীন ব্যাশপুর গ্রামে। এনএসআইয়ের সাইবার ইন্টেলিজেন্সের একটি টিম তাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এমন তথ্য প্রকাশ করে প্রীতম।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তার প্রতারক আব্দুর রউফ প্রীতম (২১) একজন শিক্ষার্থী। তিনি ২০১৭ সাল থেকে এমন প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন পরীক্ষা চলাকালে ভুয়া প্রশ্নপত্র এডিটিংয়ের মাধ্যমে মূল প্রশ্নপত্রের মত তৈরি করতেন। এরপর তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসল প্রশ্নপত্র বলে প্রচার করতেন। এমন ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই বহু টাকা খুইয়েছেন। ফাঁদে পা দেওয়াদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, প্রীতম প্রতারণার জন্য প্রথমে একাধিক ফেসবুক আইডি ও গ্রম্নপ খুলে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে প্রচার করতেন। শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে পোস্টে মূল প্রশ্নপত্রের মতো করে এডিট করা প্রশ্নপত্র প্রচার করতেন। এতে অনেকেই বিশ্বাস করে ইনবক্সে যোগাযোগ করতেন। ওই ব্যক্তিদের প্রশ্নপত্র পাওয়ার জন্য বিকাশ বা নগদে প্রথমে এক থেকে দুই হাজার টাকা পাঠাতে বলতেন। বাকি টাকা প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর দিতে বলতেন। অর্ধেক টাকা পাওয়ার পর ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ বা নম্বর বস্নক করে দিতেন। তিনি একটি ফেসবুক আইডি বেশি দিন ব্যবহার করতেন না।

প্রতারণার মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন টেম্পোরারি ই-মেইল অ্যাডড্রেসের মাধ্যমে নতুন নতুন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে সেগুলো ব্যবহার করতেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়াতে তিনি আইপি অ্যাডড্রেস ট্র্যাকিং নিরোধক বিভিন্ন ভিপিএন ব্যবহার করতেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রীতমের জব্দ করা মোবাইল ফোনটির ফরেনসিক টেস্ট করানো হয়েছে। টেস্টে দেখা গেছে, তিনি বিভিন্ন অনলাইন জুয়া ও বেটিং অ্যাপস ব্যবহার করতেন। নিজেও অনলাইন জুয়ায় জড়িত ছিলেন। প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া টাকা দিয়ে তিনি অনলাইন জুয়া খেলতেন। তিনি বহু বছর ধরে অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত। তার সঙ্গে অনলাইনে জুয়ায় জড়িত একাধিক ব্যক্তির যোগাযোগ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিকাশ ও নগদে মাসিক লেনদেনের পরিমাণ ১ লাখ টাকার বেশি। গ্রেপ্তার প্রীতম নিয়মিত ইমো অ্যাপস দিয়ে টাকার বিনিময়ে ভিডিও সার্ভিস নিতেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে