রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি স্বাধীনতার সূতিকাগার

স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী
যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী -ফোকাস বাংলা

'ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি স্বাধীনতার সূতিকাগার' উলেস্নখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকান্ডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা বাংলাদেশের ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল।

শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাব আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের '৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২৩' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, 'ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি স্বাধীনতার সূতিকাগার। বাড়িটি সবসময় জনগণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ৩২ নম্বরের বাড়ির অনেক ইট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব নিজের হাতে গেঁথেছেন। বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও একই রকম ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিষ্ঠুর ঘাতকরা নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও নিস্তার দেয়নি। এমনকি বিদেশেও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ভয়ানক বৈরী আচরণ সহ্য করেছেন।'

শিরীন শারমিন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৃশংসতম হত্যাকান্ডের সাত বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী ফিরে এসেছিলেন বলেন বাংলাদেশের ইতিহাস ঘুরে দাঁড়িয়েছিল।'

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বি এম তাজুল ইসলাম।

এছাড়া অন্যদের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুলস্নাহ আল ইসলাম জ্যাকব, শওকত হাসানুর রহমান (রিমন), নাহিদ ইজাহার খান, সৈয়দা রুবিনা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে