কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে হকির বর্তমান অবস্থা কী? কী কী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন?
ইউসুফ : আমাদের দেশে আগামী বছর দুটি টুর্নামেন্ট আছে। এর একটা ২১ থেকে ৩০ জানুয়ারি অনূর্ধ্ব ২১ জুনিয়র এশিয়া কাপ হকি। অন্যটা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (সিনিয়র)। যেটি হবে ১১ থেকে ১৯ মার্চ।
ক্যাম্প কবে শুরু করার পরিকল্পনা আছে আপনাদের?
ইউসুফ: এর মধ্যেই আমাদের একটি ক্যাম্প মাসব্যাপী চলেছে। আজকেই (সোমবার) এটা শেষ হয়েছে। যারা বাহিনীর বাইরের খেলোয়াড়। কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন জেলা বিভাগে ছিল। তাদের ফিটনেস ঠিক রাখতেই এই ক্যাম্পটা আয়োজন করেছিলাম। আগামী অক্টোবরে অনূর্ধ্ব ২১ এর ক্যাম্প শুরু করবো। অনূর্ধ্ব ২১ টুর্নামেন্টটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখান থেকে চারটা দল কোয়ালিফাই করে জুনিয়র বিশ্বকাপে খেলবে। অর্থাৎ আমরা সেমিতে উঠতে পারলেই ২০২২ সালে জুনিয়র বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। তাই এই টুর্নামেন্ট নিয়েই বেশি ভাবছি।
সেমিতে খেলার কেমন সম্ভাবনা দেখছেন আমাদের?
ইউসুফ : আমরা আশাবাদী। দশটা দল তো নির্ধারিত হয়েছে। গ্রম্নপি হয়নি এখনো। তাই প্রতিপক্ষ জানা যায়নি।
যে ফিটনেস ক্যাম্পটা শেষ হয়ে গেল সেখানে কয়জনকে রেখেছিলেন?
ইউসুফ: ক্যাম্পে মোট ২০ জনকে রেখেছিলাম। একজনের চিকেন পক্স হওয়াতে তাকে ছুটি দিয়ে দিয়েছিলাম। বাকি ১৯ জন কন্টিনিউ করেছে। ৩৬ জনের বাকিরা (১৬ জন) সার্ভিসেসে আছে। তারা ঐখানে অনুশীলন করছে।
সেখানে করোনা প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন?
ইউসুফ: আমরা কোভিড টেস্ট করিয়েই ক্যাম্পে নিয়েছি। ২০ জনের মধ্যে ২ জনকে পজেটিভ পেয়েছিলাম। তাদেরকে বিমানবাহিনীর আইসোলেশন ক্যাম্পে রেখে সুস্থ করে ক্যাম্পে নিয়ে গেছি। এদের একজন হলেন রাকিবুল হাসান অন্যজন জয়।
এরপর যখন আবার ক্যাম্প করবেন। সেখানে কি এ ধরনের ব্যবস্থা থাকবে?
ইউসুফ: জি, অবশ্যই। ৩৬ জনকেই করোনা পরীক্ষা করে ক্যাম্পে রাখা হবে।
নিজেদের ঘরে দুই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক হওয়ার কতটা প্রস্তুতি আছে আপনাদের?
ইউসুফ: যেহেতু হাতে আরও তিন-চারমাস সময় আছে। আমরা দেখি কোভিডের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়। তারপর বাকি সিদ্ধান্তগুলো নেব। যারা অংশ নিতে আসবে তাদের ঐভাবেই বলে দেব, যে তাদের সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হবে।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আসবেই এটা কি নিশ্চিত?
ইউসুফ : দশটা দেশ আসবে নিশ্চিত করেই আমাদের তারিখটা দিয়েছে এশিয়ান হকি ফেডারেশন। আমাদের সঙ্গে আলাপ করেছে আমরা কবে পারব। আমরা জানুয়ারির প্রথমদিকে করতে চেয়েছিলাম। তারপর তারা সব দেশের সঙ্গে কথা বলেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের তারিখ দিয়েছে ২১-৩০ জানুয়ারি।
দর্শক গ্যালারিতে আসতে চাইলে কী ব্যবস্থা নেবেন?
ইউসুফ : সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। অন্যান্য দেশ থেকে আমাদের পরিস্থিতি অনেক ভালো। আমাদের দেশে যদি এটা স্ট্যাবল হয়ে যায় একভাবে চিন্তা করব। আর তা না হলে অন্যভাবে চিন্তা করব। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেভাবে সমস্যা না হবে ঐভাবেই আমরা চিন্তা করব।
কোচের দায়িত্বে কি কোনো বিদেশিকে দেখা যাবে?
ইউসুফ : স্থানীয় কোচই থাকবে। বিদেশি কোচ এখন আনতে পারব না। সবকিছু বন্ধ। আমাদের অর্থনৈতিক ব্যাপারটাও অনেক বড়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর আমাদের মিটিং আছে। সেখানে ঠিক হবে কোচের দায়িত্বে কাকে রাখা হবে।
ঘরোয়া হকি নিয়ে কী ভাবছেন?
ইউসুফ: প্রিমিয়ার লিগ ছাড়া ঘরোয়া হকি জমে না। আমাদের ইচ্ছা আছে অক্টোবর-নভেম্বরে দল বদল শুরু করার। ১৩ ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে মিটিং করে লিগটা মাঠে নামাতে চাই। ক্লাবগুলোকে আমরা যতটা সম্ভব সহায়তা করবো। প্রয়োজনে খেলোয়াড়দেরও অনুরোধ করবো পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা যেন এবার টাকা কম নেয়।