শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিকসে সাফল্যের আশা বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ২৮ মে ২০২৩, ০০:০০
আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশ দলের ৬ জিমন্যাস্ট -সংগৃহীত

আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। ৯ থেকে ১২ জুন ৪৪ দেশের অংশগ্রহণে এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের পাঁচ সদস্যের দল। আগামী ৬ জুন সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে দলটি। ইতোমধ্যে টুর্নামেন্টের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন এশিয়ান জুনিয়র জিমন্যাস্টিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশন।

আসন্ন সিঙ্গাপুর সফরে বাংলাদেশের সফলতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান কোচ কোরিয়ার চো সং ডং। কোরিয়া জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ বলেন, 'আমার প্রধান লক্ষ্য তিন বছর পরের এশিয়ান গেমস। সেখানে তাক লাগানো ফলাফল আশা করছি। এশিয়ান গেমসে জাপান, চীন ও কোরিয়ার মতো দেশ অংশ নেয়। এরা শুধু এশিয়ায় নয়, পুরো বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোনো পদক জয়, অলিম্পিকে পদক পাওয়ার সমান।'

১৯৯২ সালে হিরোশিমা অলিম্পিক গেমসে কোরিয়ান জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করা এ কোচ বলেন, 'ওই সময় আমার শিষ্যরা জাপানকে হারিয়ে দিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমি (বাংলাদেশে) কাজ করছি। ছেলেরা যদি একটু মনোযোগ দিয়ে খেলে এবং আমার নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারে, তাহলে আমরা আশা করি ভালো একটি রেজাল্ট পাব। দলগতভাবে অন্তত তৃতীয় স্থান পাবার আশা করতে পারি। আমার একটাই লক্ষ্য, যেভাবে হোক চীনকে হারানো।'

৭৬ বছর বয়সি ওই কোচ বলেন, 'আমি অলিম্পিকে যতবারই অংশ নিয়েছি পদক জিতে এসেছি। পাঁচবার অলিম্পিকে গিয়েছি। কীভাবে খেললে পদক আসবে সেই পদ্ধতি আমার জানা আছে। শুধু খেলোয়াড়রা আমাকে অনুসরণ করলেই হবে।'

ডং বলেন, 'সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই ছেলেদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাদের মানসিক ভয় দূর করার জন্য আমরা টানা দুইদিন ধারাবাহিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। এটি তাদের জন্য ছিল টানা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের প্রথম অভিজ্ঞতা।'

আসন্ন সিঙ্গাপুর চ্যাম্পিয়নশিপে পোমেল, ভল্টিং ও হাই বারে (হোরাইজেন্টাল বার) এই দলের ছেলেরা ফাইনাল রাউন্ডে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন কোচ।

বশির আহমেদ মামুন বলেন, 'টুর্নামেন্টে আমরা চীন, জাপান এবং কোরিয়ার সঙ্গে খুব শক্ত গ্রম্নপে পড়েছি। আপনি জানেন যে চীন, জাপান এবং কোরিয়া জিমন্যাস্টিকসে খুব কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু এই দলটির সাফল্যের ব্যাপারে আমি খুব আশাবাদী। জিমন্যাস্টরা এক থেকে তৃতীয় অবস্থানের মধ্যে স্থান পাবে এবং টুর্নামেন্ট থেকে একটি বা দুটি পদক আনতে সক্ষম হবে।'

মামুন বলেন, 'দলীয় কোচ জিমন্যাস্টদের সম্ভাবনার বিষয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। দলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। আমাদের জিমন্যাস্টরা সব সময় সিঙ্গাপুরে ভালো পারফর্ম করে এবং আশা করি এবারও তারা (জিমন্যাস্টরা) সেখানে এই ধারা অব্যাহত রাখবে।'

বিগত প্রায় ১১ মাস ধরে প্রধান কোচ কোরিয়ার চো সং ডংয়ের অধীনে অনুশীলন করে যাচ্ছে বাংলাদেশের জিমন্যাস্টরা। এই মুহূর্তে সিঙ্গাপুরের টুর্নামেন্টকে প্রাধান্য দেওয়া হলেও বাংলাদেশের লক্ষ্যটা সুদূরপ্রসারি। আসন্ন প্যারিস গেমসের পরের অলিম্পিকে পদক জয় করতে চায় বাংলাদেশ। আর সিঙ্গাপুর আসরে অন্তত শীর্ষ আটে জায়গা পাওয়াটাই বাংলাদেশের জন্য বড় সফলতা বলে মনে করেন বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আহমেদুর রহমান বাবলু। তিনি বলেন, 'সিঙ্গাপুরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে চীন, জাপান, তাইওয়ান ও কোরিয়াসহ বিশ্বে আধিপত্য বিস্তারকারী এশিয়ার পরাশক্তিগুলো। এদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অষ্টম স্থান অর্জন করতে পারলেই বিশ্বপরিমন্ডলে আলোচনায় চলে আসবে বাংলাদেশ।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে