শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডরের গোল উৎসব

ক্রীড়া ডেস্ক
  ২৮ মে ২০২৩, ০০:০০

প্রতিপক্ষকে দুর্বল পেলে শক্তিমানরা যেন নির্দয় হয়ে ওঠে। ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ নিউজিল্যান্ড ও ফিজিকে পেয়ে তেমনই নির্দয় আচরণ করল ল্যাটিন আমেরিকার দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও ইকুয়েডর। শুক্রবার রাতে নিউজিল্যান্ডকে নিয়ে স্রেফ ছেলেখেলা খেলেছে লিওনেল মেসির উত্তরসূরিরা। গুনে গুনে নিউজিল্যান্ডের জালে ৫ বার বল জড়িয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। বিপরীতে একটি গোলও হজম করেনি তারা। রাতের আরেক ম্যাচে ফিজিকে ৯-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার আরেক দেশ ইকুয়েডর।

ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলেছিল স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানকে ২-১ গোলে, দ্বিতীয় ম্যাচে গুয়েতেমালাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোয় উঠে যায় মেসির উত্তরসূরিরা। আর শুক্রবার রাতে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশটির জালে রীতিমত গোল উৎসব করেছে স্বাগতিক দেশটি।

নিউজিল্যান্ডকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে আর্জেন্টিনা। টানা তিন ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ে 'এ' গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে আর্জেন্টাইনরা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে প্রথমে এগিয়ে দেন ইগনাসিও মায়েস্ত্রো পাচ। এর তিন মিনিট পরই (১৪তম মিনিটে) গোল করেন জিনো ইনফ্যপ্রন্তনো। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলেন লুকা রোমেরো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও দুর্বার আর্জেন্টিনা।

ম্যাচের ৫০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে চতুর্থ গোল করেন ব্রায়ান আগুয়েরে। আর ৮৬ মিনিটে দলের হয়ে পঞ্চম গোল করেন অ্যালোজো ভেলিজ। দ্বিতীয় রাউন্ডে স্বাগতিক আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ এখনো নির্ধারণ হয়নি। হয়তো শনিবার রাতেই নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে। সি, ডি, ই- গ্রম্নপের মধ্যে তৃতীয় হওয়া সেরা দলের বিপক্ষে খেলতে হবে আর্জেন্টাইনদের। এমনকি এই পর্বে ব্রাজিলকেও পেয়ে যেতে পারে স্বাগতিকরা। ৩১ মে নকআউট পর্বে মাঠে নামবে স্বাগতিকরা।

অপরদিকে আর্জেন্টিনায় চলমান অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে 'বি' গ্রম্নপে রয়েছে ইকুয়েডর ও ফিজি। এই গ্রম্নপের অন্য দুই দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এবং স্স্নোভাকিয়া। শুক্রবার রাতেই এই গ্রম্নপের সবগুলো ম্যাচ শেষ হয়েছে। ৩ ম্যাচের সবগুলোতে জয় নিয়ে গ্রম্নপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে রানারআপ হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে ইকুয়েডর। স্স্নোভাকিয়া জয় পেয়েছে একটিতে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা তৃতীয় এবং অপেক্ষায় আছে, তৃতীয় হওয়া দলগুলোর মধ্যে অন্তত সেরা চারে থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার।

ফিজি তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছে। তবে সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে তারা গোল হজম করেছে ১৬টি। একটিও দিতে পারেনি। প্রথম ম্যাচে স্স্নোভাকিয়ার কাছে ৪-০ গোলে, দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৩-০ গোলে এবং সর্বশেষ ইকুয়েডরের কাছে হেরেছে ৯-০ গোলে। অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ইতিহাসে ইকুয়েডরের এটা তৃতীয় বৃহত্তম জয়ের ঘটনা। সবচেয়ে বড় জয়ের ঘটনা নরওয়ের। ২০১৯ সালে তারা ১২-০ গোলে হারিয়েছিল হন্ডুরাসকে। এর আগে ১৯৯৭ সালে বেলজিয়ামকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল।

সান্তিয়াগো ডেল এস্তেরোয় এস্তাডিও ইউনিকো মাদ্রে ডি সিউদাদেস-এ খেলতে নেমে ম্যাচের শুরু থেকেই ফিজির ওপর চড়াও হতে শুরু করে ইকুয়েডর। জোড়া গোল করেছেন তিনজন। জাস্টিন কুয়েরো, অ্যালান মিন্দা এবং ক্রিস্টোপার জামব্রানো। ম্যাচের ৭ মিনিটে গোলের সূচনা করেন রে পায়েজ। ৩৪ মিনিটে গিয়ে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় ইকুয়েডর। হোসে ক্লিঙ্গার করেন এই গোল। এর দুই মিনিট পরই জাস্টিন কুয়েরো তৃতীয় গোল করেন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে (৪৫+৬ মিনিটে) চতুর্থ গোল করেন কুয়েরোই।

অ্যালান মিন্দা পঞ্চম গোল করেন ৬৬ মিনিটে। ৮৫ মিনিটে হলো ৬ষ্ঠ গোল। এই গোলও আসে অ্যালান মিন্দার পা থেকে। ৮৯ মিনিটে ইকুয়েডরের হয়ে সপ্তম গোল করেন টমি চাম্বা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে