বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ লেবানন। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে সন্ধ্যা ৫.৪৫ মিনিটে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। ঘরের মাঠে লেবাননের বিপক্ষে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্য বাংলাদেশের। শক্তির বিচারে বাংলাদেশ থেকে অনেক এগিয়ে লেবানন। তবে অতীতে এই দলটিকে হারিয়ে দেওয়ার সুখ স্মৃতি আছে লাল-সবুজদের। ঘরের মাঠে সেই জয়ের স্মৃতিটি আজ হতে পারে জামালদের আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে গত তিন দিন কঠোর অনুশীলন করেছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
ফিফার্ যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৩তম স্থানে। যেখানে লেবানন আছে ১০৪তম স্থানে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে তারা ৭৯ ধাপ এগিয়ে। তাই লড়াইটা অসমই। পরিসংখ্যানেও এগিয়ে লেবানন। তবে সেই হিসাব-নিকাশটা মাত্র তিন ম্যাচের। কারণ এর আগে দুই দল মোট তিনবারই মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে লেবানন জিতেছে দুই ম্যাচ। বাংলাদেশ জিতেছে একটিতে। ২০১১ সালের ২৩ জুলাই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে দুই দলের প্রথম দেখা। যেখানে লেবানন ৪-০ গোলে হারায় বাংলাদেশকে। সেটি ছিল বাংলাদেশের অ্যাওয়ে ম্যাচ। এরপর বাছাই পর্বে একই বছরের ২৮ জুলাই নিজেদের ঘরের মাঠে লেবাননকে ২-০ গোলে হারায় লাল-সবুজরা। সব শেষ দুই দলের দেখা হয়েছে গত বছর ২২ জুন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। যে ম্যাচেও লেবাননের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। ম্যাচের ৮০ মিনিট তাদের আটকেও রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ দল। তবে শেষের ১০ মিনিটে দুই গোল হজম করে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ক্যাবরেরার শিষ্যরা। তাই অতীত ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় দলটির বিপক্ষে ঘরের মাঠে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। এবারের ম্যাচটিও বাংলাদেশের নিজেদের পরিচিত মাঠ। স্বাভাবিকভাবেই গ্যালারিপূর্ণ থাকবে বাংলাদেশের সমর্থকদের দিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে লড়াকু এক বাংলাদেশকেই দেখা গেছে মাঠে। যদিও বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে নিজেদের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি ক্যাবরেরার শিষ্যদের। কারণ প্রথম ম্যাচেই নিজেদের থেকে ১৫৬ ধাপ এগিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে মোকাবিলা করতে হয়েছে জামালদের। ৭-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। তবে সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা পরবর্তী সব ম্যাচেই কাজে লাগাতে চান বাংলাদেশ দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। তার কথায়, 'আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। এই ম্যাচের অভিজ্ঞতা লেবাননের বিপক্ষেও কাজে লাগবে আশা করি।'
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশটিই ধরে রাখতে চেয়েছিলেন ক্যাবরেরা। তবে সেটি সম্ভব হয়নি। কারণ দুই হলুদ কার্ডের কারণে দলের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার সাদ উদ্দিন ও রাকিব হোসেনকে এই ম্যাচে থাকতে হচ্ছে মাঠের বাইরে। এই দু'জনের জায়গায় নেওয়া হয়েছে ডিফেন্ডার আলমগীর মোলস্না ও ফরোয়ার্ড দীপক রায়কে। মূলত ২৩ জনের স্কোয়াড পূর্ণ করতেই তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা লেবাননের বিপক্ষে মাঠে থাকবেন কিনা সেটা মূলত ম্যাচের দিনই ঠিক করবেন দলের কোচ ক্যাবরেরা। আসন্ন ম্যাচকে সামনে রেখে দর্শকদের কথা ভেবে ম্যাচ টিকিটের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। দর্শকরা উক্ত ম্যাচের টিকিট দুই জায়গা থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। বাফুফে কর্তৃক নির্ধারিত জায়গা দু'টি হলো প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেডের মতিঝিল এবং বসুন্ধরা শাখা।