রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

লিভারপুলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ম্যানইউ

ক্রীড়া ডেস্ক
  ১৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
লিভারপুলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ম্যানইউ

নাটকীয়তায় ঠাসা, রোমাঞ্চে ভরা এক লড়াইয়ের সাক্ষী হলো ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই আক্রমণের ঝড় তুলল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (ম্যানইউ)। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে তিন মিনিটের দুই গোলে ঘুরে দাঁড়াল লিভারপুল। ওই ব্যবধান ধরে রেখে দলটি যখন জয়ের পথে, তখনই ম্যানইউয়ের গোল। অতিরিক্ত সময়েও হলো গোল-পাল্টা গোল। ১২০ মিনিটের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে শেষ মুহূর্তে ব্যবধান গড়ে দিলেন তরুণ ফরোয়ার্ড আমাদ দিয়ালো। অবিশ্বাস্য জয়ে এফএ কাপের সেমিফাইনালে পা রাখল এরিক টেন হাগের দল। আসরের শেষ কোয়ার্টার-ফাইনালে রোববার রাতে ঘরের মাঠে ৪-৩ গোলে জিতেছে ম্যানইউ। রাতের আরেক কোয়ার্টার-ফাইনালে লেস্টার সিটিকে ৪-২ গোলে হারায় চেলসি।

স্কট ম্যাকটমিনের গোলে ম্যানইউ এগিয়ে যাওয়ার পর বিরতির আগে পরপর দুবার জালে বল পাঠান লিভারপুলের আলেক্সিস মাক আলিস্তের ও মোহাম্মদ সালাহ। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে সমতা টেনে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে টেনে নেন আন্তোনি। আর সখানে হার্ভি এলিয়টের গোলে ফের এগিয়ে যায় লিভারপুল। কিন্তু তাদের জয়ের আশা গুঁড়িয়ে দেয় মার্কাসর্ যাশফোর্ড ও আমাদ দিয়ালোর গোল।

গোল-পাল্টা গোল, দুই কিপারের বীরত্ব। সব মিলিয়ে আগুন-বারুদে লড়াই হলো এফএ কাপের শেষ কোয়ার্টার ফাইনালে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সাত গোলের থ্রিলার শেষে বিজয়ের হাসি হাসলো ম্যানইউ। লিভারপুলের কোয়াড্রুপল জয়ের স্বপ্ন ভেঙে সেমিফাইনালে উঠে গেলো এরিক টেন হ্যাগের দল। এই ম্যাচ নিঃসন্দেহে ম্যানইউ সমর্থকদের স্মৃতির মণিকোঠায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মহাকাব্যিক এক লড়াইয়ে এই মৌসুমে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলো তারা, সম্ভবত কোচ টেন হ্যাগের চাকরিও বেঁচে গেলো।

অন্যদিকে সপ্তাহখানেক আগে লিগ কাপ জেতার পর লিভারপুল কোচ বলেছিলেন, এফএ কাপ তার অগ্রাধিকারের তালিকায় তিন নম্বরে। সেই মিশন থেকে ছিটকে যেতে হলো জার্মান কোচকে। স্কট ম্যাকটমিনের ১০ মিনিটের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানইউ। বিরতির আগে তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে তাদের পেছনে ফেলে লিভারপুল। ৪৪ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার ফেরান সমতা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মোহাম্মদ সালাহ স্কোর করেন ২-১।

এই স্কোর ধরে রেখে লিভারপুল জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে অ্যান্টনি তাদের হতবাক করে দেন। আলেহান্দ্রো গারনাচোর সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ৮৭ মিনিটে জাল কাঁপান ম্যানইউর ব্রাজিলিয়ান তারকা। ২-২ গোলে সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১০৪ মিনিটে লিড নেয় লিভারপুল। হার্ভি এলিয়টের শক্তিশালী শট আটকাতে পারেনি ম্যানচেস্টার ক্লাব। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন বল ঠেকাতে পা বাড়ান। কিন্তু তার পায়ে লেগে ইউনাইটেড কিপার আন্দ্রে ওনানাকে পরাস্ত করে জালে জড়ায় বল।

ম্যানইউর সেমিফাইনালের স্বপ্ন উধাও হতে বসেছিল ওই গোলে। ৮ মিনিট পরই প্রায়শ্চিত্ত করেন মার্কাসর্ যাশফোর্ড। একাধিক সুযোগ নষ্ট করার পর ম্যাকটমিনের বাড়ানো বল ধরে ৩-৩ করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড। দুই কোচের কপালে যখন টাইব্রেকারের চিন্তার ভাঁজ। ঠিক তখনই অসাধারণ দক্ষতায় গোল করেন আমাদ। খেলা শেষ হতে তখন কয়েক সেকেন্ড বাকি। গারনাচো বাঁ দিকে বল বাড়ান। পাস ঠিকমতো না পেলেও এগিয়ে গিয়ে বল দখলে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আমাদ। এমন গোলের পর জার্সি খুলে উদযাপনে মাতেন আমাদ। দেখেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। লাল কার্ড পেলেও দলকে জেতানোর আনন্দ তার চোখেমুখে স্পষ্ট। আগামী ২০ ও ২১ এপ্রিল হবে সেমিফাইনাল, ম্যানইউ লড়বে কভেন্ট্রি সিটির বিপক্ষে। ম্যানসিটির প্রতিপক্ষ চেলসি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে