বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
ফেডারেশন কাপ ফুটবল

ফর্টিসের বিপক্ষে বড় জয়েই সেমিতে আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০১ মে ২০২৪, ০০:০০
ফর্টিসের বিপক্ষে বড় জয়েই সেমিতে আবাহনী

ফেডারেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল গত আসরের রানার্স আপ ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। মঙ্গলবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনালে ফর্টিস এফসিকে (৩-১) গোলে হারায় আকাশি-নীলরা। আগামী ১৪ মে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে খেলবে আবাহনী। এর আগে ৭ মে প্রথম সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিপক্ষ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। শক্তিধর বসুন্ধরা কিংস গত আসরে বিদায় নিয়েছিল সেমিফাইনাল থেকে। স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জিতে তারা হয়েছিল তৃতীয়।

মৌসুমের আগের দুই দেখাতেই আবাহনীর চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে ফর্টিস। আবাহনীর বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটিতে জয় অন্যটিতে ড্র করেছিল ফর্টিস। তবে ওই দু'টি ম্যাচ ছিল প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে। মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ফর্টিসের বিপক্ষে দেখা গেছে দাপুটে আবাহনীকেই। এই ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিল আকাশি-নীলরা। ম্যাচের ২ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর রিয়াদুল হাসান রাফি বক্সে বল পাঠালে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ফর্টিসের আব্দুলস্নাহ ওমর। বাঁ প্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার আসাদুজ্জামান বাবলুর কর্নার বক্সে পেয়ে শট নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়াশিংটন বান্দ্রাও। তবে বল চলে যায় মাঠের বাইরে। ৯ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় আবাহনী। মাঝ মাঠে বলের দখল নেন পাপন সিং। পাস করে দেন ওয়াশিংটনের কাছে। ছোট পাসে বল পান জনাথন। তিনি আবার ছোট পাসে ওয়াশিংটনকে বল দিলে তিনি বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ডান প্রান্তে বাড়িয়ে দেন। বল বুঝে নিয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট (১-০)। ২১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে জনাথনের কর্নারে বক্সে পেয়ে গোল করার চেষ্টা করেছিলেন মিলাদ শেখ সোলেমানি। তবে কর্নারের বিনিময়ে এ যাত্রা দ্বিতীয় গোল হজমের হাত থেকে ফর্টিসকে রক্ষা করেন ডিফেন্ডার। ডান প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নার বক্সে ক্লিয়ার হয়। ২৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে আলমগীরের ক্রস প্রায় নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দিচ্ছিলেন ফর্টিসের ডিফেন্ডাররা। অল্পের জন্য আত্মঘাতী গোল খায়নি তারা। যদিও আগের ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচে আবাহনীর বিপক্ষে এতটা আত্মবিশ্বাসী দেখা যায়নি ফর্টিসকে। আবাহনীর আক্রমণ প্রতিহত করতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাদের। তবে ৩০ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ফর্টিস। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে ডিফেন্ডার নয়ন মিয়ার হেড ছিল নিশ্চিতই গোল। তবে তার হেড ততটাও জোড়াল ছিল না, তাই বল ফিস্ট করতে তেমন কোনো বেগ পেতে হয়নি আবাহনীর অভিজ্ঞ গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের। কিন্তু ৪৪ মিনিটে তাকে পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়েছে। বিপজ্জনক স্থানে ফ্রি কিক পায় ফর্টিস। ভ্যালেরির ফ্রি কিক ফিরিয়ে দেন সোহেল। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+২ মিনিটে) বাঁ প্রান্ত ধরে একক প্রচেষ্টায় ফর্টিসের বক্সে ঢুকে পড়েন ওয়াশিংটন বান্দ্রাও। ফর্টিসের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বক্সে ঢুকে দারুণ শটে গোল আদায় করে নেন ওয়াশিংটন (২-০)। দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে কিছুটা স্বস্তি আসে আবাহনী শিবিরে। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় আকাশি-নীলরা।

৭৮ মিনিটে বল নিয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে ওয়াশিংটন বল নিয়ে পাস করেন কর্নেলিয়াসকে। তিনি নিজে শট না দিয়ে বক্সে ফাঁকায় দাঁড়ানো জনাথন ফার্নান্দেজকে বল দিলে দারুণ শটে লক্ষ্যভেদ করেন জনাথন (৩-০)। ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে ফর্টিসের দেওয়া একটি গোল হয়ে থেকেছে সান্ত্বত্মনারই। বক্স থেকে ডান পায়ের শটে আবাহনীর জালে বল পাঠান মিডফিল্ডার সাজেদ হাসান জুম্মন (৩-১)। গোলের পরই রেফারি শেষ বাঁশিটা বাজিয়ে জানিয়ে দেন আর সময় নেই। ৩-১ গোলের জয় নিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় আবাহনী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে