সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুদ্রানীতির ঘোষণার সুফল পাবে আর্থিক খাত :ডিসিসিআই সভাপতি

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঘোষিত মুদ্রানীতি বেসরকারি উৎপাদন খাত ও দেশের আর্থিক খাতকে ঘুরে দাঁড়ানোর সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, মুদ্রানীতির মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল করা।

সোমবার ডিসিসিআইর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত ২০২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় পর্বের (জানুয়ারি-জুন'২৩) মুদ্রানীতির ওপর প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা জানান।

প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, ২০২৩ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন মেয়াদের জন্য সরকারি ঋণের প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭.৭% যা গত ২০২২ অর্থবছরের জুন-ডিসেম্বর মেয়াদে ছিল ২৬.৬%। সরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা বেসরকারি খাতে নতুন ঋণপ্রবাহ ও বিনিয়োগকে সংকুচিত করতে পারে। সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ কমানোর লক্ষ্যে সরকারকে সুশাসন নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং পাশাপাশি সরকারি ব্যয় হ্রাস করতে হবে। এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে সরকারকে অপরিহার্য প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ব্যারিস্টার সাত্তার আরও মনে করেন বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ভোক্তা পর্যায়ে ঋণের সুদের হারের সীমা শিথিলকরণের প্রস্তাব এবং সঞ্চয়ের ওপর সুদহারের সীমা প্রত্যাহার করার ফলে ব্যাংকিং খাতে সঞ্চয় ও তারল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা আনয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ ক্রমান্বয়ে বাজারভিত্তিক এবং একক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার চালু করার প্রত্যাশাতে ব্যারিস্টার সাত্তার স্বস্তি প্রকাশ করেন। বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ পাচার রোধে এলসির মাধ্যমে আমদানি ব্যয় মেটানোর পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি জোরদার করার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানান। এ ছাড়া যেসব এলসির মূল্য ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি সেগুলোকে তদন্তপূর্বক পরিশোধ করা গেলে তা অর্থ পাচার রোধে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন। তবে বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ডিসিসিআই সভাপতি প্রস্তাব করেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি মার্জিনের শর্তাবলি শিথিল করতে হবে এবং মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে এলসি মার্জিনের শর্তাবলি শিথিল করলে তা স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী শিল্পের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করবে।

ব্যারিস্টার সাত্তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, নন-পারফর্মিং লোন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও কিছু গঠনমূলক পদক্ষেপ নেবে। কারণ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য নন-পারফর্মিং লোন কমানো ও সুশাসন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। কিভাবে নন-পারফর্মিং লোন কার্যকরভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও সুনির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলে তা মুদ্রানীতির জন্য সহায়ক হতো। যেহেতু ক্রমবর্ধমান নন-পারফর্মিং লোন বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ এবং প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে সে কারণে তিনি নন-পারফর্মিং লোনের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশেষভাবে বিবেচেনা করার ওপর তাগিদ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে