সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
সাপ্তাহিক শেয়ারবাজার

লেনদেন কমেছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

শেয়ারবাজারের সূচক ও লেনদেনে ছন্দপতন ঘটেছে। গত সপ্তাহের প্রথম তিন দিন টানা দরপতন হয়। এরপর শেষ দুই দিন সামান্য ইতিবাচক হলেও লেনদেন কমে যায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি সব ধরনের সূচকও কমেছে।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে অর্থাৎ ২৩ থেকে ২৭ জুলাই মোট ৪০৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৫০টির দর বেড়েছে, ১৩৫টির দর কমেছে, ২০৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ১৫টির লেনদেন হয়নি। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিগত সপ্তাহে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ০.২৮ শতাংশ কমেছে। তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৪.৪২ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১৪.৪৬ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.০৪ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ কমেছে।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ২৫৬ কোটি ৬৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে মোট ৪ হাজার ৭৩৫ কোটি ৪১ লাখ ৩১ হাজার ৫১৬ টাকার লেনদেন হয়েছিল। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ৪৭৮ কোটি ৭২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৬.১০ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬,৩৩৯.৫১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.২২ পয়েন্ট বা ০.৬৭ শতাংশ কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৬.৯৮ পয়েন্ট বা ১.৬৮ শতাংশ কমে যথাক্রমে ১,৩৭৩.৯৬ এবং ২,১৫৯.৮৭ পয়েন্টে এসেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩ হাজার ৭৯৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ছিল ১৬২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এটি ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ শতাংশ।

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সি পার্ল রিসোর্টের ১২৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার, খান ব্রাদার্সের ৯৩ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার, জেমিনি সি ফুডের ৮৭ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকার, রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সে ৮৩ কোটি ৮৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্সের ৮০ কোটি ৪৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার, রংপুর ডেইরির ৮০ কোটি ২১ লাখ ২০ হাজার টাকার, লিগ্যাসি ফুটওয়ারের ৭৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭২ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার এবং ডেল্টা লাইফ ইন্সু্যরেন্সে ৭২ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহটিতে ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্স লিমিটেডের শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্সের উদ্বোধনী দর ছিল ৫৩ টাকা ৬০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ৬৫ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর বেড়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা বা ২২.৭৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে ক্রিস্টাল ইন্সু্যরেন্স সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে।

এছাড়া সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির নেতৃত্বে থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এশিয়া ইন্সু্যরেন্সের দর বেড়েছে ১৮.৪০ শতাংশ, এক্সপ্রেস ইন্সু্যরেন্সের ১৩ শতাংশ, মেঘনা ইন্সু্যরেন্সের ১২.৯৭ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৮.৭৩ শতাংশ, এশিয়া প্যাসেফিক ইন্সু্যরেন্সের ৮.৬২ শতাংশ, লিগ্যাসি ফুটওয়ারের ৮.২৬ শতাংশ, রিপাবলিক ইন্সু্যরেন্সের ৭.৭৭ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্সু্যরেন্সের ৬.৬৫ শতাংশ এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৬.২৪ শতাংশ।

সপ্তাহটিতে শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি কমেছে রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্স লিমিটেডের। সপ্তাহের শুরুতে রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের উদ্বোধনী দর ছিল ১৫৬ টাকা ২০ পয়সা। আর শেষ কার্যদিবসে ক্লোজিং দর হয়েছে ১২৫ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারটির দর কমেছে ৩০ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৯.৪৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে রূপালী লাইফ ইন্সু্যরেন্স সাপ্তাহিক দর পতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে।

এছাড়া সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মিডল্যান্ড ব্যাংকের দর কমেছে ১২.৩৫ শতাংশ, আজিজ পাইপসের ১০.৭৩ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ৯.৫৪ শতাংশ, মেঘনা পেটের ৯.০২ শতাংশ, রংপুর ডেইরির ৮.৯৫ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলের ৮.৮৫ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ৮.৬০ শতাংশ, সিমটেক্সের ৮.২৭ শতাংশ এবং ফার কেমিক্যালের ৭.৪৪ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে