শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন ৫ শতাংশ বাড়ার আভাস আইজিসির

অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি)। আগের মৌসুমের তুলনায় কৃষি পণ্যটির উৎপাদন ছয় কোটি টন বা ৫ শতাংশ বাড়তে পারে। শীর্ষ দেশগুলোয় উৎপাদন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এ পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১২২ কোটি ২০ লাখ টনে। আগের মৌসুমে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১১৬ কোটি ২০ লাখ টন।

২০২৩-২৪ বিপণন মৌসুমে চীনে ভুট্টা উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একদিকে অনুকূল আবহাওয়া, অন্যদিকে আবাদ বৃদ্ধি উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন অ্যাগ্রিকালচারাল সার্ভিসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ বিপণন মৌসুমে চীনে ২৭ কোটি ৭২ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছিল। ২০২৩-২৪ মৌসুমে উৎপাদন বেড়ে ২৮ কোটি টনে উন্নীত হতে পারে। ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ মৌসুমে ভুট্টার ব্যবহার ৩০ কোটি ৫০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এর আগের মাসের তুলনায় পূর্বাভাস ১০ লাখ টন বাড়ানো হয়েছে। ফরেন অ্যাগ্রিকালচারাল সার্ভিস জানায়, খাদ্যপণ্য, বীজ ও শিল্প খাতে শস্যটির ব্যবহার বাড়বে। ২০২১ সালে পশুখাদ্য উৎপাদনে ভুট্টার ব্যবহার লক্ষ্যণীয় মাত্রায় কমে গিয়েছিল। তবে এ মৌসুমে তা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ইউএসডিএর দেওয়া পূর্বাভাস বলছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ব্রাজিলে ১২ কোটি ৬০ লাখ টন ভুট্টা উৎপাদন হতে পারে, যা গত মৌসুমে ছিল ১১ কোটি ৬০ লাখ টন। দেশটিতে উৎপাদন রেকর্ড স্পর্শ করতে পারে।

চলতি বছরের প্রথমার্ধে ব্রাজিলের ভুট্টা রপ্তানি ২২১ শতাংশ বেড়েছে। ভুট্টার চাহিদা মেটাতে আমদানিকারকরা ইউক্রেনের বিকল্প হিসেবে ব্রাজিলকে বেছে নিয়েছেন। এ কারণেই শস্যটি রপ্তানিতে এমন উলস্নম্ফন দেখা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ ভুট্টা রপ্তানিকারক দেশ। ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশটিকে পেছনে ফেলে নেতৃস্থানীয় হয়ে ওঠে ব্রাজিল। ২০২৩-২৪ মৌসুমেও দেশটি এ অবস্থান ধরে রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৯ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে ইউএসডিএ।

ভুট্টার বৈশ্বিক বাণিজ্য পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রেখেছে আইজিসি। বাণিজ্যের পরিমাণ ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ২০ লাখ টনে। তবে আগের মৌসুমের তুলনায় বাণিজ্য ৮০ লাখ টন কমতে পারে।

আইজিসি জানায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ৩ শতাংশ কমতে পারে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৭৮ কোটি ৩০ লাখ টনে, ২০২২-২৩ মৌসুমে যা ৮০ কোটি ৫০ লাখ ছিল টন।

সংস্থাটি আগস্টে দেওয়া খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক মজুদ পূর্বাভাস সংশোধন করে কিছুটা বাড়িয়েছে। তবে আগের মৌসুমের তুলনায় মজুদ ২ শতাংশ কমে ৫৮ কোটি ৮০ লাখ টনে নামতে পারে। এটি হতে যাচ্ছে ২০১৪-১৫ মৌসুমের পর সর্বনিম্ন মজুদ। খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক চাহিদা এক বছরের ব্যবধানে ২ শতাংশ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

২০২৩-২৪ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে ৫২ কোটি ৩০ লাখ টন চাল উৎপাদন হতে পারে বলে মনে করছে আইজিসি। ২০২২-২৩ মৌসুমে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৫১ কোটি ৪০ লাখ টন। এ ছাড়া সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ টন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে